পজিটিভ বাংলাদেশ

কলায় আলীর ভাগ্যবদল

কলার ব্যবসা করেই নিজেকে সাবলম্বী করে তুলেছেন শ্রীপুর পৌর এলাকার আলী হোসেন আলী (৩৫)। প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা সত্বেও উপজেলার মওনা চৌরাস্তায় অবস্থিত আলাউদ্দিন মেম্বারের মার্কেটে কলার আড়তে ব্যবসা করে মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করছেন তিনি। একই মার্কেটের কলার আড়তে ব্যবসা করে আলীর মতো অনেকেই এখন স্বাবলম্বী।   

জানা গেছে, উৎপাদন, স্বাদ ও সুগন্ধের দিক থেকে শ্রেষ্ঠ হওয়ায় কলাকে ফলের রানী বলা হয়। কলা অতি জনপ্রিয় একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফ। এ ফলে প্রচুর পরিমাণে শর্করা, ভিটামিন এ, বি, সি এবং ক্যালসিয়াম, লৌহ ও পর্যাপ্ত খাদ্যশক্তি রয়েছে। অন্য ফলের তুলনায় কলা দামে সস্তা এবং প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায় তাই ধনী গরিব নির্বিশেষে সব মানুষ সহজেই কলা খেতে পারেন।  

আলী হোসেন বলেন, ‘খুব ছোটবেলা থেকেই কলার ব্যবসা করি। এই আড়কে সবরি কলা, কবরি কলা, চিনি চম্পা, ও গেনা সুন্দরী কলা বিক্রি করি। অনেক বছর ধরে এই কলার ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত আমি।’

তিনি আরো বলেন, ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার মল্লিকবাড়ি, কাসর, পাবনা, মাগুরা থেকে কাঁচা কলা কিনে নিয়ে আসি। কোনো প্রকার রাসায়নিক ছাড়া কলা পাকানোর পর কলার কাঁদি এলাকার খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করি। প্রতিপুন কলা (২০ হালি) ৩০০-৪০০ টাকায় বিক্রি করি। আর এই কলার ব্যবসা করে প্রতি মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করি।

খুচরা কলা ব্যবসায়ী সানাউল্লাহ বলেন,  এই আড়তে থেকে বিভিন্ন ধরনের কলা কিনে কারওয়ান বাজারে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে অনেক লাভবান হচ্ছি। এই আড়তে কলার দামও অনেক কম।’