ডা. সজল আশফাক : শীতের সকালে শরীরে মিষ্টি রোদ মেখে ওম পেতে চান না এমন লোক খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। শুধু সকালে কেন, শীতের সময় দুপুর কিংবা বিকেলেও অনেকে শরীরে রোদ লাগাতে পছন্দ করেন। শীতের সময় অনেকেই শীতের মিষ্টি রোদ থেকে একটু উষ্ণতা পাবার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা হয়তো জানেন না, শীতের এই মিষ্টি রোদ আসলে মিষ্টি নয়। অন্য যে কোনো ঋতুর রোদের তুলনায় শীতের রোদের ক্ষতিকর প্রভাব বেশি। যদিও শীতে রোদের প্রখরতা কম থাকে। শীতের সময় আবহাওয়ায় জ্বলীয় বাষ্প খুব কম থাকে বলে অতিবেগুনি রশ্মি কোনো বাধা না পেরিয়ে সরাসরি চলে আসে। এজন্য শীতকালে অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব বেশি থাকে। বছরের অন্যান্য সময় রোদের প্রখরতা বেশি থাকলেও আবহাওয়ায় জ্বলীয় বাষ্পের পরিমাণ থাকে বেশি। এই জ্বলীয় বাষ্প অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতির প্রভাব কমিয়ে দেয়। আর এ কারণেই শীতের সময় যারা আরামে রোদ লাগিয়ে ঘুরে বেড়ান তাদের ত্বক একটু কালো অর্থাৎ গাঢ় বর্ণের হয়ে যায়। অন্যদিকে গরমের দিনে মানুষ এমনিতেই রোদ এড়িয়ে চলে। কাজেই তখন গায়ের রং কালো হওয়ায় সুযোগ কম থাকে। কাজেই সৌন্দর্য সচেতন সকলকে এড়িয়ে চলতে হবে শীতের মিষ্টি রোদ।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ জানুয়ারি ২০১৭/তারা