দেহঘড়ি

মেডিটেশন কেন করবেন?

ঝুমকি বসু : ব্যস্ত জীবনের সঙ্গে তাল মেলাতে সুস্থ শরীর ও ঠান্ডা মেজাজ একান্ত জরুরি। আর এক্ষেত্রে মেডিটেশন আপনার শরীর ও মনে প্রশান্তি এনে দিতে পারে খুব কম সময়েই। মেডিটেশন করতে যা প্রয়োজন * প্রথমেই দরকার একটা খোলা জায়গা। এটা হতে পারে বারান্দা, বাগান বা খোলা ছাদ। বড় জানালা আছে এমন বড়সড় ঘরেও মেডিটেশন করা যায়। * বসার জন্য মাদুর বা এই জাতীয় কোনো কিছু। * আরামদায়ক পোশাক। * আগরবাতি বা সুগন্ধি মোমবাতি। * অন্তত আধা ঘণ্টা সময় রাখুন। এ সময়ে মোবাইল ফোন বন্ধ রাখুন। যেভাবে করবেন * মাদুর বিছিয়ে জ্বেলে দিন আগরবাতি বা সুগন্ধি মোমবাতি। * যেভাবে আপনি আরাম পান সেভাবে বসুন। হাঁটু মুড়ে বসতে পারেন। * মেরুদণ্ড সোজা রাখুন। হাত দুটো কোলের ওপর রাখুন। * ঘন ঘন শ্বাস নিন। * চোখ বুজে মনঃসংযোগ করুন। মাথায় কোনো সাংসারিক বা বৈষয়িক চিন্তা একদমই আনবেন না। * ২০-২৫ মিনিট সময় এভাবেই থাকুন। উপকারিতা * শরীরের রক্ত চলাচল বাড়ে। পরিপাকক্রিয়া বাড়ায়। হৃদরোগীদের জন্য খুব উপকারী। * রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। * পেশী শিথিল করে এবং মাথাব্যথা কমায়। * মস্তিষ্কে সেরোটোনিন বাড়িয়ে বিষণ্নতা ও অনিদ্রা কমায়। * নারীদের মাসিকের আগের পেটব্যথা কমিয়ে আনে। গর্ভাবস্থায় মেডিটেশন গর্ভাবস্থা খুব কষ্টকর একটা সময়। এ সময় শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তন আর আগত সন্তানের জন্য নানা আশঙ্কা গর্ভবতী নারীদের কাবু করে ফেলে। শারীরিক কারণে ব্যায়াম করাও যায় না। স্নায়ু ঠান্ডা রাখতে, মন শান্ত করতে এবং শরীরে স্বস্তি ফেরাতে এই সময় মেডিটেশনের কোনো জুড়ি নেই। * একটা আরামদায়ক চেয়ারে বসুন। সামনে ছোট টুল রেখে পা দুটো  তুলে দিন। পেটের ওপর হাত দুটো রাখুন। * ধীরে ধীরে শ্বাস নিন এবং ছাড়ুন। * এ সময় আপনার আগত সন্তানের কথা ভাবুন। মন ভালো থাকবে। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ জানুয়ারি ২০১৬/ফিরোজ