মুখের স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য ভেঙে পড়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। অযত্ন অবহেলায় মাড়ি ফুলে যেতে পারে, পুঁজ জমতে পারে ও ব্যথা হতে পারে। মাড়িতে ব্যথা হলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে ঘরোয়া উপায়ে স্বস্তি পাওয়া যায় কিনা দেখা যেতে পারে। এখানে মাড়ির ব্যথা কমাতে পাঁচ ঘরোয়া উপায় দেয়া হলো।
* গরম সেঁক অথবা ঠান্ডা সেঁক: মাড়ির ব্যথা কমানোর একটি কার্যকরী উপায় হলো সেঁক দেয়া। গরম সেঁক অথবা ঠান্ডা সেঁক যেকোনোটাতে কাজ হবে। গরম পানিতে একটি পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে বাড়তি পানি চেপে বের করে কাপড়টিকে ভাঁজ করে গালের সেই অংশে রাখুন যেখানে মাড়িতে ব্যথা হচ্ছে। গরম পানি যেন সহনীয় হয়। ঠান্ডা সেঁকের ক্ষেত্রে বরফ খন্ডকে একটি পরিষ্কার কাপড়ে মুড়িয়ে গালে ব্যথার স্থানে রাখতে হবে। মাড়ির ব্যথা ও ফোলা না কমা পর্যন্ত একবার ঠান্ডা সেঁক, আরেকবার গরম সেঁক রিপিট করতে পারেন।
* লবণ পানির কুলকুচা: মাড়ির ব্যথা প্রশমনের আরেকটি কার্যকরী উপায় হলো লবণ পানির কুলকুচা করা। লবণ পানি মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর করে ও ব্যাকটেরিয়ার গ্রোথ প্রতিরোধ করে। কুসুম গরম পানিতে এক চা-চামচ লবণ মিশিয়ে কিছুক্ষণ কুলকুচা করুন। কুলকুচার পানি গিলে ফেলবেন না, ফেলে দিন। দিনে কমপক্ষে দুইবার লবণ পানির কুলকুচা করুন।
* হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের ব্যবহার: হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড মাড়ির ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে পারে। এটা হলো জীবাণু ধ্বংসের একটি শক্তিশালী প্রতিনিধি। এটা মুখের অন্য সমস্যায়ও কার্যকর। অর্ধেক পানিতে অর্ধেক হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড মিশিয়ে এই দ্রবণকে মুখের ভেতর ২০ সেকেন্ড রেখে ফেলে দিন। এবার কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখের ভেতর ধুয়ে ফেলুন।
* টি ব্যাগ: গরম পানিতে একটি টি ব্যাগকে কমপক্ষে পাঁচ মিনিট রেখে ব্যাগটি ঠান্ডা হতে দিন। ব্যাগটি ঠান্ডা হলে আক্রান্ত মাড়ির সঙ্গে লাগিয়ে রাখুন। যেকোনো চায়ে উপকার পাবেন না। চায়ে এস্ট্রিনজেন্ট প্রপার্টি রয়েছে এমন টি ব্যাগ লাগবে, যেমন- গ্রিন টি ও ব্ল্যাক টি। এছাড়া এন্টি-ইনফ্লামেটরি প্রপার্টি রয়েছে এমন চায়ের ব্যাগও ব্যবহার করতে পারেন।
* হলুদের পেস্ট: হলুদ মাড়ির ফোলা, ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। হলুদের পেস্ট তৈরি করতে ১/৪ চা চামচ হলুদে একটু পানি মেশান। তারপর আক্রান্ত মাড়িতে প্রয়োগ করে পাঁচ মিনিট রেখে দিন। মাড়িতে মৃদু ম্যাসাজ করে হলুদের পেস্ট প্রয়োগ করুন। পাঁচ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখের ভেতরটা ধুয়ে ফেলুন। মাড়ির ব্যথা দূর না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন প্রক্রিয়াটি রিপিট করুন।