দেহঘড়ি

করোনার নতুন উপসর্গ

মহামারি করোনা আবার অনেক দেশে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়েছে। যেটিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বলা হচ্ছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আরও বেশি জটিল, বিপজ্জনক এবং প্রাণনাশক। এটি নতুন উপসর্গ এবং নতুন শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে হাজির হয়েছে। বর্তমান করোনাভাইরাসে কেবল বয়স্করাই নয়, তরুণরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। 

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার নতুন উপসর্গ হিসেবে চরম ক্লান্তি এবং শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। এটি করোনার নতুন প্রাথমিক উপসর্গ। চিকিৎসকরা বলছেন, অনেকেই শুষ্ক কাশি এবং কোনো কারণ ছাড়াই শারীরিক দুর্বলতার অভিজ্ঞতার কথা জানাচ্ছেন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রথম ঢেউয়ের মতো নয়, দ্বিতীয় ঢেউয়ে তরুণ এবং স্বাস্থ্যবানরাও অসুস্থ হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহামারির এই সময়কালে অত্যাধিক ক্লান্তিবোধ এবং জ্বর বা গলায় অস্বস্তি অনুভব হলে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। মানুষজনের জন্য যোগাযোগ কমিয়ে ফেলতে হবে এবং আইসোলেশনে থাকতে হবে। কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ না আসা পর্যন্ত আইসোলেশন জরুরি। রিপোর্ট পজিটিভ আসলে আতঙ্কিত না হয়ে বরং পুষ্টিকর খাদ্যভ্যাস, প্রচুর পরিমাণে তরল গ্রহণ, পূর্ণ বিশ্রাম এবং মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া গুরুত্বপর্ণ। পাশাপাশি উপসর্গগুলো পর্যবেক্ষণ করে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে।

দ্বিতীয় ঢেউয়ের এ সময়ে করোনা সংক্রমণের স্বাভাবিক লক্ষণগুলোর প্রতিও খেয়াল রাখতে হবে। যার মথ্যে রয়েছে– জ্বর, শুকনা কাশি, গলাব্যথা, সর্দি, ডায়রিয়া, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, স্বাদ-গন্ধ চলে যাওয়া। 

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অতিদ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম করোনার নতুন ধরনের (স্ট্রেইন) অস্তিত্ব মিলেছে বেশ কয়েকটি দেশে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব ধরনের করোনাকেই প্রতিরোধ করা সম্ভব। মাস্ক পরা, বারবার হাত ধোয়া আর দূরত্ব মেনে চলার বিকল্প নেই। করোনার টিকা অবশ্যই নিতে হবে। আক্রান্ত হলে থাকতে হবে আইসোলেশনে, যাতে করে ভাইরাস ছড়াতে না পারে।