বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘‘নিয়মিত স্কোয়াট করে শরীরের ভারসাম্য এবং ভঙ্গি উন্নত করে নিতে পারেন।’’ কারণ স্কোয়াট এমন একটি ব্যায়াম যা শরীরের ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করতে পারে, আঘাত প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে এবং শরীরের কোরকে শক্তিশালী করতে পারে।
ক্লান্তি কেটে যায়: দিনের শুরুতে এই ব্যায়াম করলে মন মেজাজ ভালো থাকে। সকালের ক্লান্তি ও আলস্য কেটে যায়। শরীর ঝরঝরে লাগে, মন চনমনে হয়। এই ব্যায়াম করলে ‘হ্যাপি হরমোন’ নিঃসৃত হয়। ফরে মানসিক স্বস্তি পাওয়া যায়।
টেন্ডন উন্নত হয়: আমেরিকান কাউন্সিল অন এক্সারসাইজ এর তথ্য, ‘‘স্কোয়াট করলে টেন্ডন (যা পেশীকে হাড়ের সাথে সংযুক্ত করে), লিগামেন্ট এবং হাড় শক্তিশালী হয়। ফলে আঘাতের ঝুঁকি কমে।’’
পেশীগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে: ২০১৮ সালের একটি গবেষণা- যেখানে প্ল্যাঙ্কের সময় কোর পেশীর সক্রিয়তার তুলনা করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে যে স্কোয়াটের ফলে পিঠের শক্তিপ্রদানকারী পেশীগুলো আরও বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে।
হার্টের ক্ষমতা বাড়ে: নিয়মিত স্কোয়াট করলে উচ্চ রক্তচাপ কমে এবং হার্টের ক্ষমতা বাড়ে। তবে যারা হৃদরোগে ভুগছেন তারা এই ব্যায়াম করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে: স্কোয়াট এমন একটি ব্যায়াম যা স্বল্প সময়ে করা যায়। কিন্তু এই ব্যায়ামের প্রভাব অনেক বেশি। এই ব্যায়াম করলে কর্টিসল, অর্থাৎ ‘স্ট্রেস হরমোন’ কমে হতাশা দূর হয়। ‘হ্যাপি হরমোন’ নিঃসরণ বাড়ায় মন ভালো হয়ে যায়। শুধু তাই না এই ব্যায়াম ‘গ্রোথ হরমোন’ এবং টেস্টোস্টেরনের উৎপাদনের প্রক্রিয়াকে উদ্দীপিত করতে পারে বলে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
স্কোয়াট করার নিয়ম: প্রথমে দুই পা ফাঁক করে দাঁড়াতে হবে। এ বার দুই হাত টান টান করে সামনে রেখে, দুই হাঁটু ভাঁজ করে অর্ধেকটা বসতে চেষ্টা করুন। তারপর উঠে দাঁড়ান আবার বসুন। প্রথম প্রথম প্রতিদিন ২ থেকে ৩ বার ওঠা-বসা করুন। এরপর ধীরে ধীরে আরও সংখ্যা বাড়াতে পারেন।