দেহঘড়ি

সকালে ঘুম ভাঙতে চায় না? তিনটি নিয়ম মেনে চলুন

আধুনিক জীবনে নানা দুশ্চিন্তা আমাদের মনে ও মগজে স্থান করে নিয়েছে। নানা রকম উদ্বেগ মানুষের মনে। উদ্বেগ নিয়ে ঘুমাতে গেলে সহজে ঘুম আসে না আবার সহজে ঘুম থেকে ওঠাও যায় না। এক কথায়, সকাল-সকাল ঘুম থেকে ওঠা সবসময় সহজ নয় এবং মাঝে মাঝে এটি একটি সংগ্রামে পরিণত হতে পারে। তবে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার কিছু সহজ উপায় আছে।

ঈশা ফাউন্ডেশনের  পক্ষে তিনটি উপায় জানানো হয়েছে—

১. রাতে হালকা খাবার খান।

২. দিনের বেলা পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম করুন।

৩. ঘুমানোর আগে ঠান্ডা বা হালকা গরম জলে গোসল করুন।

যদি এই ছোট ছোট জিনিসগুলো মেনে চলতে পারেন তাহলে শরীর ভালোভাবে বিশ্রাম পাবে এবং স্বাভাবিকভাবেই অনায়াসে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে পারবেন।

সকাল-সকাল ঘুম থেকে ওঠার স্বাস্থ্য  উপকারিতা অনেক। চলুন বিস্তারিত জানা যাক:

মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি সকাল-সকাল ঘুম থেকে উঠলে মন ভালো থাকে। ফলে মানসিক চাপ কমে যায়। এবং সার্বিক মনের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে সকালের সূর্যের আলো শরীরের জন্য খুবই উপকারী। সকালের আলো থেকে ভিটামিন ডি পেতে পারেন।এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।

দিনটি ভালোভাবে শুরু করা যায় সকাল-সকাল ঘুম থেকে উঠলে দিনটা ভালোভাবে শুরু করার জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যায়। ফলে ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে।

শক্তি এবং উদ্দীপনা বৃদ্ধি সকাল বেলার প্রাকৃতিক আলোতে ঘুম ভাঙলে শরীর উদ্দীপনা পায। শরীরের সক্রিয়তা বাড়ে।

মনোযোগ ও একাগ্রতা বৃদ্ধি সকাল-সকাল ঘুম থেকে উঠলে কাজে বেশি মনোযোগ দেওয়া যায়। এটি শিক্ষার্থী কিংবা কর্মী সবার জন্যই উপকারী।

পরিকল্পনা করার সুযোগ সকাল-সকাল ঘুম থেকে উঠতে পারলে দিনটি সুন্দরভাবে পরিকল্পনা করার সুযোগ পাওয়া যায়। যা চাপ কমাতে এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শেষ করতে সাহায্য করে।

শারীরিক সুস্থতা বাড়ে সকালের শীতল পরিবেশে হাঁটা বা দৌড়ানোর ফলে শারীরিক ফিটনেস বাড়ে। এতে হৃদযন্ত্র ভালো থাকে।

মানসিক চাপ হ্রাস সকালে ধীরে ধীরে দিন শুরু করার সময় থাকলে মানসিক চাপ কমে। ফলে আপনি আরো আত্মবিশ্বাসী বোধ করেন।

শান্ত পরিবেশ উপভোগ করার সুযোগ সকালের পরিবেশ থাকে শান্ত এবং নির্মল। এই পরিবেশে প্রকৃতির সান্নিধ্য উপভোগ করা সম্ভব, যা মানসিক শান্তি দেয়।

সৃজনশীল চিন্তাভাবনা ঘুম থেকে ওঠার পরে মস্তিষ্ক সতেজ ও ভালোভাবে সক্রিয় থাকে। ফলে সৃজনশীল কাজ সহজ হয়।