দেহঘড়ি

মানসিক সুস্থতার জন্য যেসব কাজ করতে পারেন

শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস প্রকাশিত ‘ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস জার্নাল’—এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে মানসিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য ‘মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার’ বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে শুধুমাত্র সামাজিক যোগাযোগ নির্ভর সম্পর্ক গড়ে তুললে হবে না, একে অন্যের সঙ্গে সরাসরি দেখা করতে হবে, কথা বলতে হবে। মানসিক সুস্থ্যতার জন্য পারস্পরিক সম্পর্কের ভূমিকা অনেক। কারণ সম্পর্ক আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, সুখের মুহূর্ত ভাগ করে নিতে শেখায়। এ ছাড়া প্রয়োজনে একে অপরের মানসিক ভরসা হয়ে দাঁড়ায়।’’

মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার জন্য করণীয় এক. পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রতিদিন কিছুটা সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। এ জন্য যেকোনো এক বেলার খাবার সবাই মিলে খেতে পারেন।

দুই. পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার জন্য টিভি বন্ধ করে সময় দিন, অথবা একসঙ্গে নিজেদের পছন্দের কোনো কাজ করে সময় কাটাতে পারেন।

তিন. অনেক দিন দেখা হয় না এমন বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা করুন।

চার. যে বন্ধু বা আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে ইচ্ছা হয়, সম্ভব হলে তাঁকে দেখতে যান।

পাঁচ. স্থানীয় কোনো স্কুল, হাসপাতাল বা কমিউনিটি গ্রুপে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে পারেন।

শরীরচর্চা শুধু শারীরিক সুস্থতার জন্য নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও প্রয়োজন। নিয়মিত বিভিন্ন শারীরিক ব্যায়াম আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং লক্ষ্য ঠিক করতে অনুপ্রেরণা জোগায়। এ ছাড়া মন-মেজাজ প্রফুল্ল রাখে।তবে ব্যায়াম করার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিমে সময় কাটানোর প্রয়োজন নেই। এমন কিছু ব্যায়াম খুঁজে বের করুন, যেগুলো আপনি উপভোগ করেন। এতে এমন অভ্যাস আপনার প্রতিদিনের জীবনের অংশ হয়ে উঠবে।

আপনার চারপাশের জগৎ উপলব্ধি করুন। এই চর্চা আপনার জীবনকে আরও বেশি উপভোগ করতে এবং নিজেকে ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে।

সূত্র: ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস, যুক্তরাজ্য