রাইজিংবিডি স্পেশাল

কনভেনশন সেন্টারের জন্য জমি অধিগ্রহণের উদ্যোগ, বিদেশি বিনিয়োগের প্রস্তাব

কেএমএ হাসনাত : ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জ উপজেলার সোনাকান্দিতে প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার ও এক্সিবিশন সেন্টারের জন্য ৯৫ দশমিক ৫ একর জমি অধিগ্রহণের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে  ঢাকা জেলা প্রশাসন। প্রস্তাবিত জমির মধ্যে ৯৪ দশমিক ৮৩ একর সরকারি খাস জমি এবং বাকি ১ দশমিক শূন্য ২ একর জমি ব্যক্তি মালিকানাধীন। ঢাকা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ আগস্ট অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রস্তাবিত জমির বর্তমান দাম নির্ধারণের নির্দেশ দেন। সে নির্দেশ অনুযায়ী জমির দাম নির্ধারণের কাজ চলছে। দাম নির্ধারণ শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।  এর আগে ঢাকার কাছাকাছি একটি আন্তর্জাতিক কনভেনশন  ও এক্সিবিশন সেন্টার স্থাপনের জায়গা নির্বাচনের জন্য পূর্ত সচিবের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, গণপূর্ত ও গৃহায়ণ মন্ত্রণালয় ছাড়াও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রেল মন্ত্রণালয় ও সড়ক বিভাগের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। এই কমিটি কনভেশন সেন্টার স্থাপনের জন্য প্রাথমিকভাবে তিনটি জায়গা চিহ্নিত করে। এর মধ্যে সুবিধামতো একটি জায়গায় কনভেনশন সেন্টারটি স্থাপন করা হবে। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, এই সেন্টার স্থাপনের জন্য প্রাথমিকভাবে চারটি জায়গা নির্বাচন করা হয়েছিল। এর মধ্যে তিনটি জায়গায় এটা করা যেতে পারে বলে আমরা সবাই একমত হয়েছি। এই তিনটি জায়গার মধ্যে কোথায় করলে সবচেয়ে ভালো হবে সেজন্য পূর্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।ঢাকা জেলা প্রশাসন সূত্রে আরো জানা গেছে, কেরানীগঞ্জে কনভেনশন সেন্টারটি স্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্তের কথা এরই মধ্যে সরকারকে অবহিত করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জমির দাম নির্ধারণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরকালে সে দেশের সরকার বাংলাদেশে একটি আন্তর্জাতিক মানের কনভেনশন ও  এক্সিবিশন সেন্টার স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছিল। সে অনুযায়ী চীনের নির্মাতা সংস্থা কনভেনশন সেন্টারটি করে দেওয়ার কথা। এদিকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকের মালিকানাধীন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কেপিসি গ্রুপ বাংলাদেশে একটি করভেনশন সেন্টার, একটি পাঁচতারা হোটেল ও একটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির মালিক ড. কালি প্রদীপ চৌধুরী অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আনুষ্ঠানিকভাবের বিনিয়োগ প্রস্তাব দেবেন বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। জানা গেছে, কনভেনশন সেন্টারে ৫ হাজার আসনের একটি গ্যালারি ও ৫০০ আসনের দুটি গ্যালারি থাকবে। থাকবে ২০০ আসনের ১০টি সেমিনার কক্ষ। প্রধানমন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রীদেরসহ প্রায় ১০০টি বিভিন্ন ধরনের দফতর থাকবে। ক্যাফেটারিয়া, রেস্তোরাঁ ব্যক্তি মালিকানায় গড়ে উঠতে পারে। কাছাকাছি এলাকায় দুটি হোটেল, একটি শপিং প্লাজা ও একটি এক্সিবিশন হল রাখা হবে। থাকবে ৫০০টি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা।এই কনভেশন সেন্টারের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে, সেন্টারটি ঢাকা-মাওয়া বা ঢাকা-দোহার রাস্তার পাশে স্থাপন করা যেতে পারে। এই কনভেনশনের জন্য যে জমি অধিগ্রহণ করা হবে তার বেশিরভাগ জমি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে বেসরকারি খাতে নিলামে বিক্রি করা হবে।ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘পিপিপি দফতর ঢাকার জিরো পয়েন্ট থেকে যেখানে কনভেনশন সেন্টার করা হবে সেই পর্যন্ত একটি উড়াল সড়ক বানানোর উদ্যোগ নিয়েছে।’

       

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩১ আগস্ট ২০১৫/হাসনাত/রফিক