রাইজিংবিডি স্পেশাল

কড়া নাড়ছে শীত, বাজারে উঠছে গরম কাপড়

হাসান মাহামুদ : ষড়ঋতুর পরিক্রমায় বিদায় নিচ্ছে শরতের শোভাময়ী আশ্বিন। আর দুদিন পরেই শুরু হচ্ছে কার্তিক। অগ্রহায়ণ পার হলেই শীতের বার্তা নিয়ে আসবে পৌষ। কিন্তু প্রকৃতি যেন এখনই শীতের পরশ বোলাতে শুরু করেছে। ঋতু পরিবর্তনের ফলে দুয়ারে কড়া নাড়ছে শীত। পুরোপুরি শীত আসতে দেরি হলেও বাজারে আসতে শুরু করেছে গরম কাপড়। প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত বিপণিবিতানগুলো। বেচাকেনা তেমন একটা জমে ওঠেনি। তবে দোকানিরা আশাবাদী, শীত একটু বাড়লে বাড়বে কেনাবেচাও। ব্যস্ততা বেড়েছে নিউমার্কেট এবং কেরানীগঞ্জের পাইকানি বাজারে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা শীতের পোশাক কিনতে আসতে শুরু করেছেন। ঢাকার পাইকারি পোশাকের বাজারের অন্যতম হিসেবে পরিচিতি কেরানীগঞ্জের তৈরি পোশাকের বাজার। শীত সামনে রেখে এরই মধ্যে খুচরা ব্যবসায়ীরাও ভিড় জমাচ্ছেন এসব মার্কেটে।জালাল উদ্দিন নামে এখানকার একজন পাইকারি ব্যবসায়ী রাইজিংবিডিকে বলেন, কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জ, পারগেন্ডারিয়া, কালীগঞ্জ তেলঘাট, আগানগর, কালীগঞ্জবাজার এলাকায় পাঁচ হাজারেরও বেশি রেডিমেড গার্মেন্টস রয়েছে। এ গার্মেন্টসগুলোতে দেশের বিভিন্ন এলাকার নারী-পুরুষসহ দেড় লাখ পোশাকশ্রমিক কাজ করেন। তিনি জানান, কালীগঞ্জের পাঁচ হাজারের বেশি তৈরি পোশাক কারখানার মধ্যে তিন হাজার কারখানায় এ বছর শীতের পোশাক তৈরি হচ্ছে। অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময় শুরু হয় শীতের পোশাক বিক্রি। চলে ডিসেম্বর পর্যন্ত।

  তিনি বলেন, ‘গত বছর খুব শীত পড়েছিল দেশে, এবারো তেমন হলে বিক্রি ভালো হতে পারে।’ তিনি জানান, তার কাছে ১৫০০ থেকে শুরু করে ৪ হাজার টাকা দামের কম্বল রয়েছে।’গতকাল সোমবার বিকেলে কিছু কিছু ক্রেতাকে কম্বল এবং উলের তৈরি সোয়েটারের দরদাম করতে দেখা গেছে। এদিকে বেচাকেনা এখনো জমে উঠেনি বলে জানান বায়তুল মোকাররম মসজিদের প্রধান গেটের সঙ্গে বসা দোকানি আজমলও। তিনি বলেন, ‘শীত তো এখনো আসেনি, তাই ক্রেতাও কম। এখন কিছু সোয়েটার, ট্রাউজার বিক্রি হচ্ছে। বিকেলের দিকে অফিস ফেরত কিছু মানুষ কিনছেন এসব কাপড়।’

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ অক্টোবর ২০১৫/হাসান/শফিক/ইভা/এএন