রাইজিংবিডি স্পেশাল

রমজানের আগে খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা

নাসির উদ্দিন চৌধুরী : প্রতিবছর রমজানের সপ্তাহ দুয়েক আগে খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়লেও এবার তা স্থিতিশীল রয়েছে বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, সরবরাহ বেশি থাকা সত্বেও রমজানকে কেন্দ্র করে মাসখানেক আগেই পণ্যের দাম কয়েক দফা বেড়েছে। অন্যদিকে, রমজানের আগে খাদ্যদ্রব্যের দাম আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। শনিবার রাজধানীর নিউমার্কেট, হাতিরপুলসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়- বুট ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, বেসন ১০০ থেকে ১১০, ছোলা ৮৫ থেকে ৯০, মুগ ডাল ১১০ থেকে ১২০, চিকন মসুর ডাল ৮০, মোটা মসুর ডাল ৬০, খেসারি ৫০ থেকে ৫৫, অন্য ডাল ৮০ থেকে ৮৫, বেগুন বাজারভেদে ৬০ থেকে ৭০, দেশি পেঁয়াজ ৪৫, কাঁচা মরিচ ৫০ থেকে ৬০, রসুন ১৫০, দেশি শুকনা মরিচ ১৫০, ভারতীয় মরিচ ১৭০, আলু ২০ থেকে ২৫, ভারতীয় আলু ৩৫, চিনি ৫৫ থেকে ৬০ ও আখের গুড় ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যবসায়ীরা প্রতি বছর রমজানের ঠিক আগে দাম বাড়ালেও এবার তারা ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছে। তারা অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন অজুহাতে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে পণ্যগুলো। এর ফলে এখন দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হচ্ছে না। তবে এসবের পরেও আবার দাম বাড়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। কারণ, পণ্যের যোগানের অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় সক্ষম ভোক্তারা পুরো মাসের প্রয়োজনীয় পণ্য একবারে কিনে নেন। যা বাজারে পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরির অন্যতম কারণ। আর ভোক্তাদের তৈরি করা এই কৃত্রিম সংকটের ফায়দা নেয় অসাধু ব্যসায়ীরা। পুরো রমজানে বাজার মনিটরিং ও অসাধু ব্যবসায়ীদের শাস্তির আওতায় আনার মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান সম্ভব বলেও জানান তারা। এদিকে রমজানকে সামনে রেখে আগামীকাল (রোববার) থেকে রাজধানীসহ সারা দেশে ১৮৪টি ট্রাকে খোলা বাজারে পণ্য বিক্রি করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। টিসিবির পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- চিনি, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল, ছোলা ও খেজুর। চিনি ৫৫ টাকা, মসুর ডাল ৫৫, সয়াবিন তেল ৮৫, ছোলা ৭০ ও খেজুর ১২০ টাকা করে বিক্রি হবে। একজন ক্রেতা ট্রাক থেকে সর্বোচ্চ ৪ কেজি চিনি, ৪ কেজি মসুর ডাল, ৫ লিটার সয়াবিন তেল, ৫ কেজি ছোলা ও ১ কেজি খেজুর কিনতে পারবেন। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ মে ২০১৮/নাসির/রফিক