রাইজিংবিডি স্পেশাল

কোরবানির মাংস কাটার সরঞ্জামের কদর বেড়েছে

মাত্র এক দিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদকে ঘিরে জমে উঠেছে রাজধানীর পশুর হাটগুলো। সেই সঙ্গে কোরবানির মাংস কাটার বিভিন্ন সরঞ্জামের কদর বেড়েছে। তাই, স্থায়ী কামারের দোকানের পাশাপাশি বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় বসেছে অস্থায়ী কামারের দোকান। দোকানগুলোতে বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে দা, বটি, ছুরি, চাকু, চাপাতিসহ বিভিন্ন ধারালো সরঞ্জাম। 

মঙ্গলবার (২৭ জুন) রাজধানীর খিলগাঁও, দক্ষিণ বনশ্রী, বাসাবো ও মালিবাগসহ নগরির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

কামার ও মাংস কাটার সরঞ্জামের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের আগের দিন ও রাতে কোরবানির পশু বেশি কেনা-বেচা হয়। ফলে, ওই দিন দা, বটি, ছুরি, চাপাতি কেনার ধুম পড়ে যায়। কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে এক-দুই সপ্তাহে যে পরিমাণ বেচা-কেনা হয়, তার চেয়ে কেয়েকগুণ বেশি হয় ঈদের আগের দিন-রাতে। এবার ভালো ব্যবসা হলে করোনাকালে হওয়া ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।

ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই ব্যস্ততা বাড়ছে স্থায়ী ও অস্থায়ী কামারের দোকানগুলোতে। প্রতি বছর কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি থাকে এ শিল্পের ব্যবসায়ীদের। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। তবে, প্রতিবারের মতো এবার মাংস কাটার সরঞ্জাম বিক্রি নির্ভর করবে কোরবানির পশু বিক্রির ওপর। তাই, ঈদের আগের রাতের অপেক্ষায় আছেন কামাররা।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পশু জবাইয়ের ছুরি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। চামড়া ছাড়ানোর ছুরি বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ৭০ থেকে ২০০ টাকায়। চাকু আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ৫০০ টাকায়। ভালো মানের বটি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। ওজন অনুযায়ী চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায়।

কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ বনশ্রী এলাকার প্রধান সড়কে ধারালো সরঞ্জামের অস্থায়ী দোকান দিয়েছেন সবুজ মিয়া। তিনি বলেন, ‘কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর এখানে অস্থায়ী দোকান বসাই। আমরা সারা বছর এ সময়ের জন্য অপেক্ষায় থাকি। ঈদের আগের এক সপ্তাহ ভালো বিক্রি হয়। দামও ভালো পাওয়া যায়। তাই, ঈদের অগের দিন ও রাতের অপেক্ষায় আছি।’

খিলগাঁও তালতলা এলাকার ব্যবসায়ী বিমল কর্মকার বলেন, ‘ঈদে কোরবানির পশু যত বেশি বিক্রি হবে, তত বেশি আমাদের অস্ত্র বিক্রি হবে। এ ব্যবসা অনেকটা কোরবানির পশু বিক্রির ওপর নির্ভরশীল। বেচা-বিক্রি ভালো হবে বলে আশা করছি।’

দক্ষিণ বনশ্রীতে চাপাতি ও ছুরি কিনতে কামারের দোকানে এসেছেন আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, ‘এবার মাংস কাটা ও চামড়া ছড়ানোর সরঞ্জামের দাম অনেক বেশি। জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে বলে দা, বটি, ছুরি, চাকু, চাপাতিসহ বিভিন্ন ধারালো সরঞ্জামের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ঈদের কারণে বাধ্য হয়ে বেশি দামে সরঞ্জাম কিনতে হচ্ছে।’