রাশিয়া বিশ্বকাপ ২০১৮

বিশ্বকাপে সাবিনার বাজি আর্জেন্টিনা

দরজায় কড়া নাড়ছে রাশিয়া বিশ্বকাপ। ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত ফুটবল বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে আগামী ১৪ জুন। এখনই চায়ের কাপে ঝড় উঠতে শুরু করেছে বিশ্বকাপ নিয়ে। কে কোন দলের সমর্থক তা জাহির করার প্রচেষ্টা চলছে পুরোদমে। বড় বড় পতাকা বানিয়ে তাক লাগানোর চেষ্টাও চলছে। আর চিরস্থায়ী দ্বন্দ্বে রূপ নেওয়া আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল সমর্থকদের দ্বন্দ্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভালোভাবেই শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ ফুটবল দলের বর্তমান ও প্রাক্তন ফুটবলাররা, কোচ ও সংগঠকরা কে কোন দলকে সমর্থন করেন? তাদের মতো ফুটবলবোদ্ধাদের মতে এবারের বিশ্বকাপে ফেবারিট কোন দল? সেগুলো জানার চেষ্টা করেছে রাইজিংবিডি ডটকম। বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত তাদের দেওয়া তথ্য ও তত্ত্বের ভিত্তিতে রাশিয়া বিশ্বকাপের ফেবারিট দলগুলো নিয়ে রাইজিংবিডিতে প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। তাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আমিনুল ইসলাম। আজ প্রকাশিত হলো বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক ও গোলমেশিন খ্যাত সাবিনাখাতুনের সাক্ষাৎকার। প্রশ্ন : রাশিয়া বিশ্বকাপে আপনার ফেভারিট কোন দল? সাবিনা খাতুন : খেলোয়াড় হিসেবে আমি সব দলকেই সম্মান করি। সব খেলোয়াড়ের প্রতিই আমার সম্মান রয়েছে। তবে আমি আর্জেন্টিনার সমর্থক। আমার মতে তারাই এবার ফেভারিট। প্রশ্ন : কেন দলটিকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখছেন? সাবিনা খাতুন : আমি আসলে যখন খেলা বুঝতে শিখেছি তখন থেকে কেবল মেসি মেসি নাম শুনে এসেছি। সে কারণে অটোমেটিক্যালি আর্জেন্টিনার সমর্থক হয়ে গিয়েছি। আগেরবার ফাইনালে হেরেছি। এবার আশা করছি মেসির হাত ধরে শিরোপাটা চলে আসবে। আর যেহেতু সাপোর্ট করি সেহেতু হারলেও করব, জিতলেও করব। তবে আশা তো থাকবেই আর্জেন্টিনা ভালো করুক। তারা শিরোপা জিতুক।

 

প্রশ্ন : আচ্ছা চারবারের চ্যাম্পিয়ন ইতালির না থাকা বিশ্বকাপের জন্য কতটুকু কষ্টের? সাবিনা খাতুন : ইতালির মতো একটি দল যারা নিয়মিত বিশ্বকাপ খেলেছে। চার-চারবার শিরোপা জিতেছে তাদের না থাকাটা আসলেই কষ্টের। ব্যাড লাক তাদের। প্রশ্ন : মেসি-রোনালদোর খোলস থেকে কি রাশিয়া বিশ্বকাপ বের হয়ে আসতে পারবে? সাবিনা খাতুন : আসলে ফুটবলে তো বলা যায় না কে কখন গোল করে। ভালো পারফরম্যান্স করে। কিন্তু নেইমার, মেসি কিংবা রোনালদোদের ভালো করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাদের দক্ষতাই অন্যরকম। গড গিফটেড। প্রশ্ন : বিশ্বকাপ এলেই বাংলাদেশে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা নিয়ে উৎসব হয়। এতো পতাকার ভিতরে বাংলাদেশেল পতাকা না দেখে কি কষ্ট হয়? সাবিনা খাতুন : আসলে পতাকা টাঙানোর বিষয়ে আমি ইতিবাচক তেমন নয়, আবার নেতিবাচকও নই। কষ্ট লাগে তখন যখন বাংলাদেশের কোনো খেলা হয় তখন কিন্তু ৫০ কিংবা ৬০ গজের কোনো পতাকা আমরা দেখি না। কিন্তু বিশ্বকাপ এলে আমি একটি দলকে সমর্থন করতে পারি, ঠিক আছে। কিন্তু তাই বলে ভিন্ন আরেকটি দেশের বিশাল আকৃতির পতাকা বানিয়ে হইহুল্লোড় করছি, বিষয়টা একটু হলেও দৃষ্টিকটু। এখানে কিন্তু নিজের দেশকে আমি পেছনে ফেলছি। সমর্থন করতে পারি, কিন্তু নিজের দেশের চেয়ে তো আর কিছু বড় হতে পারে না। প্রশ্ন : বাংলাদেশ কি আসলেই কোনো সময় বিশ্বকাপ খেলতে পারবে? সাবিনা খাতুন : আমিও আশা করি। আমাদের ভবিষ্যত ভালো। বিশেষ করে মেয়েদের। মেয়েদের ফুটবল এগিয়ে যাচ্ছে। হয়তো ভবিষ্যতে ভালো কিছু দেখব আমরা। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ জুন ২০১৮/আমিনুল/ইয়াসিন