সালতামামি ২০১৬

ভুবনেশ্বর খাল খনন : বদলে যাবে খাদ্যশস্যের উৎপাদন

মনিরুল ইসলাম টিটো, ফরিদপুর : ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর চরঅযোধ্যা, শৈলডুবী, শ্যামনগর ডিক্রিরচর এলাকার ভুবনেশ্বর খাল খননের কাজ চলছে।দীর্ঘ তিন যুগ ধরে এই নদ (খালটি) ভরাট হয়ে অব্যবহৃত থাকার পর সম্প্রতি বিএডিসির সেচ প্রকল্পের উদ্যোগে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৫২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫০ টাকা ব্যয়ে ৭০ হাজার ৭০০ ঘন মিটার খাল খনন কাজ শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, খননের ফলে ভরাট হয়ে যাওয়া খাল পুনরুদ্ধার ও খালের পানি প্রবাহ ফিরে আসবে। এতে কয়েক হাজার কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে। তারা আবার কৃষিকাজ ব্যবহারের জন্য পানি পাবেন। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, কৃষ্ণপুর চরঅযোধ্যা, শৈলডুবী, শ্যামনগর ডিক্রিরচর মৌজার প্রায় ৫০ হেক্টর কৃষি জমির জলাবদ্ধতা নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া খালের পানি ব্যবহার করে শুষ্ক মৌসুমে ১২০ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে বছরে ৩০০ মেট্রিক টন অতিরিক্ত খাদ্যশস্য উৎপাদন সম্ভব হবে।অন্যদিকে বর্ষা মৌসুমে এই খালের পানিতে পাট পঁচানো মাধ্যমে উন্নত মানের সোনালি আঁশ উৎপাদন করা যাবে। এ ছাড়া হাঁস, মাছের সমন্বিত চাষের মাধ্যমে অনেক পরিবার স্বাবলম্বী হবে। খালের পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ভারসাম্য বজায় থাকবে। সুবিধাভোগী কৃষক রমজান আলী, বাশার মিয়া, মজিদ মিয়া, কামরুল ইসলাম জানান, ভুবনেশ্বর নদটি ক্রমাগত পলি পড়ে ভরাট হয়ে অবৈধ দখল হয়ে যাচ্ছিল। খালটি খননের মাধ্যমে এ অঞ্চলের কৃষকদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হলো। তাদের মতে, এই পানি ব্যবহার করে তারা (কৃষকরা) অতিরিক্ত কৃষিপণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি অনেকেই নিত্য প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবে। বিএডিসির সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী পরিতোষ কুমার কুন্ডু জানান, এ সেচ প্রকল্পের আওতায় সদরপুরের কয়েক হাজার কৃষকের স্বপ্ন পূরণ হবে। ভবিষ্যৎ খাল খননে সারা বছর কৃষক বিভিন্ন জাতের খাদ্যশস্য উৎপাদন করতে পারবে। প্রতিবছর কৃষক লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারবে।

       

রাইজিংবিডি/ফরিদপুর/২৪ এপ্রিল ২০১৫/মনিরুল/রিশিত