বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুদ্ধক্ষেত্রে বর্তমান সময়ের বিস্ময়কর ১১ আবিষ্কার

আনোয়ার হোসেন : সিনেমার পর্দায় আমরা অনেক রকম প্রযুক্তির ব্যবহার দেখে থাকি। প্রযুক্তিগুলোর মধ্যে কোনো কোনোটি এখন পর্যন্ত আবিষ্কারই হয়নি। কিন্তু বাস্তবেও এমন কিছু প্রযুক্তির আবিষ্কার হয়েছে, যা সিনেমার কাল্পনিক প্রযুক্তিকেও হার মানায়।

 

আর এ প্রযুক্তিগুলো আবিষ্কারে অবদান রাখছে মার্কিন সামরিক সংস্থা দ্য ডিফেন্স অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সি (ডিএআরপিএ)। এ সংস্থাটির কল্যাণে বিশ্ববাসী বেশ কিছু উন্নত এবং যুগোপযোগী প্রযুক্তির আবিষ্কারের সঙ্গে পরিচিত হতে পেরেছে।

 

এর আগে ডিএআরপিএ বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ইন্টারনেট, জিপিএস, চোরা বিমান ইত্যাদি। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে একের পর এক নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করে চলেছে সংস্থাটি।

 

চলুন দেখে নেওয়া যাক ডিএআরপির বর্তমান সময়ের কয়েকটি আবিষ্কার।

 

ছোড়ার পর নিজের গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে এমন বুলেট

এক্সট্রিম অ্যাকুরেসি টাস্ক অরড্যান্স বা সংক্ষেপে এক্সাকটো। এটি মিলিটারির প্রথম স্বনিয়ন্ত্রিত বুলেট। এক্সাকটো বুলেট কোনো কিছুকে লক্ষ্য করে ছোড়ার পর লক্ষ্যবস্তুর গতিপথ লক্ষ করে নিজের গতিপথ পরিবর্তন করতে সক্ষম।

 

সৈন্য বাহিনী যেতে পারে এমন ৭০-৮০ শতাংশ জায়গায় যেতে পারে বোস্টন ডাইনামিকস আলফা ডগ নামে পরিচিত এ রোবটটি। এটি শত শত পাউন্ড ওজনের গেয়ার, লাইট বহন করতে সক্ষম। বর্তমানে এটি হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে মেরিন সেনাদের সঙ্গে পরীক্ষামূলক ব্যবহারে রয়েছে।

 

স্বনিয়ন্ত্রিত বন্দুক

ডিএআরপির ওয়ান শট এক্সজি প্রযুক্তির মূল লক্ষ্য মিলিটারি স্নাইপারের মাপকে আরো উন্নত করা। একটি ছোট মাপকযন্ত্রের সাহায্যে এটি করা হয়। এটি অস্ত্রের ব্যারেলে অথবা স্পোর্টিং স্কুপের ওপর রেখে ব্যবহার করা হয়।

 

জেড-ম্যান প্রোগ্রাম নামের এই প্রযুক্তিটি গেকো এবং মাকড়শার মতো ওপরে উঠতে সক্ষম। এ প্রযুক্তিটির মূল উপাদানটি হচ্ছে ‘গেকস্কিন’। এটি সিনথেটিক্যালি কোনো বস্তুকে খুব জোরে আঁকড়ে ধরে থাকতে সক্ষম। ২০১২ সালে পরীক্ষামূলক ব্যবহারের সময় ১৬ স্কয়ার ইঞ্চির একটি গেকস্কিন সফলভাবে একটি কাচের দেয়ালের সঙ্গে আটকে ৬৬০ পাউন্ড ওজনের ভার বহন করতে সক্ষম হয়েছিল। 

 

ভাষার মধ্যে পার্থক্য ঘুচিয়ে দেবে এমন প্রযুক্তি

ব্রড অপারেশনাল ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রান্সলেশন বা সংক্ষেপে বোল্ট। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে অনলাইনে বা সরাসরি কোনো ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগকালে ভাষাগত দুর্বোধ্যতাকে ঘুচিয়ে দেবে।

 

১০০ কিলোওয়াটের একটি লেজার রশ্মি ব্যবহার করে ভূমি এবং আকাশের লক্ষ্যবস্তুকে সূক্ষ্মভাবে ধ্বংস করতে সক্ষম এ অস্ত্র।

     

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১ ডিসেম্বর ২০১৫/ফিরোজ/এএন