বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাইবার নিরাপত্তা ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশ-ভারত সমঝোতা

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে আজ শনিবার দুপুরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নয়াদিল্লির দপ্তরে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ২২টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়, যার মধ্যে দুটি সমঝোতা স্মারক তথ্যপ্রযুক্তি-সংশ্লিষ্ট। দুটি সমঝোতা স্মারকের মধ্যে একটি সাইবার নিরাপত্তা-সংক্রান্ত ও অন্যটি আইটি/আইটিএস খাতের উন্নয়নে সার্বিক বিষয়াদিকে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দুদেশের পারস্পরিক সহযোগিতা-সংক্রান্ত। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে জানানো হয়, সাইবার নিরাপত্তা-সংক্রান্ত চুক্তিটি বিডি সার্ট (বাংলাদেশ সাইবার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম) ও সার্ট ইন (সাইবার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম-ইন্ডিয়া) এর মধ্যে সম্পাদিত হয়। চুক্তির আওতায় বিডি সার্ট ও সার্ট-ইন সাইবার নিরাপত্তায় পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র উন্মোচন ও সাইবার নিরাপত্তা-সংক্রান্ত সব সমস্যা সমাধানে একযোগে কাজ করবে। অন্য সমঝোতা স্মারকটি বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও ভারতের ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে স্বাক্ষরিত হয়। সমঝোতা স্মারকে ই-গভার্নেন্স, এম-গভার্নেন্স, ই-লার্নিং, টেলিমেডিসিন খাতে পারস্পরিক অত্যুত্তম পদ্ধতিগুলো (বেস্ট প্র্যাকটিস) শেয়ার করা, গ্রামীণ এলাকায় ইন্টারনেট এনাবল্ড কিয়স্ক বা কমন সার্ভিস সেন্টার স্থাপন, বিপিও/বিপিএম/কেপিও (বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং/বিজনেস প্রসেস ম্যানেজমেন্ট/নলেজ প্রসেস আউটসোর্সিং) এবং হাইটেক পার্ক/ সফটওয়্যার পার্ক, আইটি সার্ভিস-সংক্রান্ত শিল্পের নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা, দুদেশের আইটি সংগঠনগুলোর মধ্যে বিজনেস টু বিজনেস অংশীদারিত্ব বাড়ানো, গবেষণা ও উন্নয়ন এবং উদ্ভাবনে দুদেশের সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় যৌথ প্রকল্প বাস্তবায়ন, কর্মশালা, সেমিনার, বিশেষজ্ঞ পরিদর্শনসহ নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও কারিগরি প্রদর্শনী আয়োজন করা, স্টার্টআপস/উদ্ভাবন উন্নয়নে পারস্পরিক বিশেষায়িত সহযোগিতা অব্যাহত রাখা। তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নে উভয় দেশের সমন্বয়ে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হবে এবং ওয়ার্কিং গ্রুপ বছরে ন্যূনতম একবার বৈঠকে মিলিত হবে। এছাড়াও, এসব কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট দেশ তার নিজ নিজ অর্থের যোগান দেবে। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ এপ্রিল ২০১৭/ইয়ামিন/মুশফিক