বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কম্পিউটার সায়েন্সে বিশ্বসেরা ৫০ বিশ্ববিদ্যালয়

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : সেরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সের ডিগ্রি অ্যাপল, গুগল এবং ফেসবুকের মতো প্রতিষ্ঠানে স্বপ্নের চাকরি পেতে সহায়ক হতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে নিয়োগকর্তাকে প্রভাবিত করার জন্য কম্পিউটার সায়েন্সের কোর্সটি কোথা থেকে সম্পন্ন করা সেরা হতে পারে? বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিংয়ের অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে, ক্যাকারেলি সিমন্ডস (কিউএস)। কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি ২০১৭-এর র‌্যাংকিং অনুসারে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন সিস্টেম কোর্সগুলোর র‌্যাংক নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিজনেস ইনসাইডার। এই প্রতিবেদনটি শিক্ষার্থী এবং চাকরিদাতা উভয়েরই কাজে আসবে। শিক্ষার্থীরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে হবে এবং চাকরিদাতারা কোন প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া ভালো হবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কিউএস ১০০ স্কোরের ওপর ভিত্তি করে কম্পিউটার সায়েন্সে বিশ্বের সেরা ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয় কোনগুলো। ৫০. ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া : এটি আমেরিকার পশ্চিম উপকূলের সবচেয়ে প্রাচীনতম বেসরকারি গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়। কম্পিউটার সায়েন্স ও ইনফরমেশন সিস্টেম কোর্সগুলোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টি ৭৪.৫ স্কোর অর্জন করেছে। ৪৯.  পলিটেকনিকো দে মিলানো : ইতালির পলিটেকনিকো ডি মিলানো বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে ৭৪ জন প্রফেসর রয়েছে। কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন সিস্টেম কোর্সগুলোর জন্য এই ফ্যাকাল্টি কিউএস কর্তৃক ৭৪.৬ স্কোর অর্জন করেছে। ৪৮. লোমোনোসভ মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটি : রাশিয়ার রাজধানীভিত্তিক লোমোনোসভ মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটি কিউএস কর্তৃক ৭৪.৭ স্কোর অর্জন করেছে। ৪৭. ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড, কলেজ পার্ক : যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড রাজ্যে অবস্থিত মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় ৩০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী নিয়ে অন্যতম বড় একটি বিশ্ববিদ্যালয়। কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন সিস্টেম কোর্সগুলোর ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়টি কিউএস স্কোর ৭৫ অর্জন করেছে। ৪৬. ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান : যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় ইথিক্যাল রোবট, কম্পিউটারভিত্তিক ডিজাইনের মতো গবেষণা খাতে ৬৩ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ ব্যবহার করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়টি তার কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন সিস্টেম কোর্সগুলোর জন্য কিউএস র‌্যাংকিংয়ে ৭৫.৩ স্কোর অর্জন করেছে। ৪৫.  সাংহাই জিয়াও টং ইউনিভার্সিটি : ১৮৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই চীনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি থিওরোটিক্যাল কম্পিউটার সায়েন্স, সমান্তরাল এবং বিতরণ সিস্টেমস, কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং, ইন্টেলিজেন্ট হিউম্যান-কম্পিউটার ইন্টারেকশন, ক্রিপ্টোগ্রাফি এবং ইনফরমেশন সিকিউরিটি বিষয়ে গবেষণা করে থাকে। এটি কিউএস স্কোরে ৭৫.৭ পয়েন্ট অর্জন করেছে। ৪৪. ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, সান দিয়েগো (ইউসিএসডি) : প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলবর্তী ১২০০ একর জায়গার ওপর স্থাপিত ইউসিএসডি’র কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, এমবেডেড সিস্টেমস, কম্পিউটার ভিশন সহ অন্যান্য বিষয়গুলোর ওপর বেশি গুরুত্বারোপ করে থাকে। কিউএস স্কোর ৭৬.৩। ৪৩. ইউনিভার্সিটি অব সিডনি : অ্যালগরিদম এবং অ্যাপ্লিকেশন, এন্টারপ্রাইজ কম্পিউটিং, মানব কেন্দ্রিক কম্পিউটিং এবং স্বাস্থ্যসেবায় আইটি অ্যাপ্লিকেশন- বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দেওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় কিউএস স্কোর ৭৬.৪ অর্জন করেছে। ৪২. ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস (ইউএনএসডব্লিউ অস্ট্রেলিয়া) :   ইউএনএসডব্লিউ-তে স্নাতক ডিগ্রিধারীরা বায়ো ইনফরম্যাটিক্স, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে কোর্স করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়টির কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন সিস্টেম কোর্সগুলো ৭৬.৫ স্কোর অর্জন করেছে। ৪১. ন্যাশনাল তাইওয়ান ইউনিভার্সিটি (এনটিইউ) : এনটিইউ বছর প্রায় ৮ হাজার শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করে থাকে, যার মধ্যে কম্পিউটার সায়েন্সের শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টি কিউএস স্কোরে ৭৬.৭ পয়েন্ট অর্জন করেছে। ৪০. টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখ : বিশ্ববিদ্যালয়টির অভ্যন্তরে বৃহৎ আকৃতির স্লাইড আপনাকে অনুভব করাবে যে, আপনি জার্মানির মিউনিক কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়টি কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন সিস্টেম কোর্সগুলোর জন্য ৭৭.২ স্কোর অর্জন করেছে। ৩৯. ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়া : বিশ্ববিদ্যালয়টির সহ প্রতিষ্ঠাতা বেঞ্জামিন ফ্র্যাংকলিন। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় তাদের কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন সিস্টেম কোর্সগুলোর জন্য কিউএস র‌্যাংকিংয়ে ৭৭.৯ স্কোর অর্জন করেছে। ৩৮. সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি : বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার এবং প্রযুক্তগত উদ্ভাবন- উভয় ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সেরা হওয়ার লড়াইয়ে সহায়তা করে থাকে সিউল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। দক্ষিণ কোরিয়ার এই বিশ্ববিদ্যালয়টি কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের জন্য কিউএস কর্তৃক ৭৮.২ স্কোর অর্জন করেছে। ৩৭. ইউসিএল (ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন) : ইউসিএল বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণার আলোচিত স্টার্টআপ ‘ডিপমাইন্ড’- যা পরবর্তীতে কিনে নিয়েছে গুগল। যুক্তরাজ্যের অন্যতম একটি সেরা কম্পিউটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্ট হচ্ছে, ইউসিএল। কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন সিস্টেম কোর্সগুলোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টি ৭৮.৯ স্কোর অর্জন করেছে। ৩৬. অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি : অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্ট সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, প্যারালাল কম্পিউটেশন, প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ, থিওরোটিক্যাল কম্পিউটার সায়েন্স এবং অন্যান্য বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এটি কিউএস র‌্যাংকিংয়ে কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন সিস্টেম কোর্সগুলোর জন্য ৭৯.১ স্কোর অর্জন করেছে। ৩৫. চায়নিজ ইউনিভার্সিটি অব হংকং (সিইউএইচকে) : সিইউএইচকে’র কম্পিউটিং ডিপার্টমেন্টের দাবী, কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং কম্পিউটার প্রকৌশল উভয় গবেষণার জন্য তাদের সবচেয়ে উন্নত কিছু কম্পিউটিং ডিভাইস এবং ক্লাউড ইনফ্রাস্ট্রাকচার রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি ৭৯.২ স্কোর অর্জন করেছে। ৩৪. ইয়েল ইউনিভার্সিটি : ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে গণিত এবং প্রকৌশল অনুষদগুলোরও যোগসূত্র রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন সিস্টেম কোর্সগুলোর জন্য কিউএস র‌্যাংকিংয়ে ৭৯.৩ স্কোর অর্জন করেছে। ৩৩. কেএআইএসটি- কোরিয়া অ্যাডভান্সড ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি : এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার প্রযুক্তির মাধ্যমে মানবজীবনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে নানা উদ্ভাবনে গুরুত্বারোপ করা হয়ে থাকে। কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন সিস্টেম কোর্সগুলোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টি ৭৯.৫ স্কোর অর্জন করেছে। ৩২. নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি (এনওয়াইইউ) : নিউ ইয়র্ক সিটিতে অবস্থিত গবেষণামূলক বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়। এর কিউএস স্কোর ৭৯.৭। ৩১. ইউনিভার্সিটি অব ওয়াটারলু : কানাডার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কিউএস স্কোর ৭৯.৯। ৩০. আরবানা-শ্যাম্পেইনের ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয় : ইউএস আর্মি থেকে প্রাপ্ত অনুদান দিয়ে ডিজিটাল কম্পিউটার গবেষণাগার গড়ে তুলেছে ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়। কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন সিস্টেম কোর্সগুলোর জন্য এই ডিপার্টমেন্টটি কিউএস কর্তৃক ৮০.২ স্কোর পেয়েছে। ২৯. কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি : নিউ ইয়র্কের এই বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়টি সাংবাদিকতা কোর্সের জন্য সুপরিচিত, তবে কম্পিউটার সায়েন্সের জন্যও সেরা। এটি কিউএস র‌্যাংকিংয়ে ৮০.৩ স্কোর অর্জন করেছে। ২৮. জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি : কম্পিউটার সায়েন্সের জন্য এটি বিশ্বের অন্যতম সেরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়। কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন সিস্টেম কোর্সগুলোর জন্য কিউএস কর্তৃক ৮০.৪ স্কোর পেয়েছে। ২৭. ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (ক্যালটেক) : ক্যালটেক কর্তৃপক্ষে মতে, তাদের কম্পিউটার সায়েন্সের শিক্ষার্থীরা কম্পিউটেশন এবং ইনফরমেশনের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ও মৌলিক সমস্যাগুলো নিয়ে গবেষণা করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়টি কিউএস স্কোর ৮০.৫ অর্জন করেছে কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন সিস্টেম কোর্সগুলোর দরুন। ২৬. অস্টিনের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস : রোবোটিক্স, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ডাটা মাইনিং এর মতো বিষয়গুলোর জন্য দারুন অস্টিনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কোর ৮০.৬। ২৫. ইউনিভার্সিটি অব হংকং : এটি হংকংয়ের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়, যা ১৯১১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি কিউএস স্কোর ৮০.৭ অর্জন করেছে এর কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন সিস্টেম কোর্সগুলোর উন্নত মানের কারণে। ২৪. ইকোল পলিটেকনিক ফেডারেল দে লাউসেন (ইপিএফএল) : সুইজারল্যান্ডের এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ফিজিক্যাল সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য বিখ্যাত। কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন সিস্টেম কোর্সগুলোর গুণগতমানে বিশ্ববিদ্যালয়টি কিউএস কর্তৃক ৮০.৭ স্কোর অর্জন পেয়েছে। ২৩. ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়া (ইউবিসি) : ইউবিসি’র কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন সিস্টেমের কিছু কোর্স খুবই মানসম্পন্ন ও জনপ্রিয়। এ কারণে ৮০.৮ স্কোর অর্জন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ২২. ইউনিভার্সিটি অব এডিনবরা : ১৫৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ইংরেজি ভাষার বিশ্বের ষষ্ঠতম প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় এবং এবং স্কটল্যান্ডের প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি। স্কাইস্ক্যানার এবং ফ্যানডুয়াল এর বদৌলতে বিশ্ববিদ্যালয়টির বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা রয়েছে। কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন সিস্টেম কোর্সগুলোতে কিউএস র‌্যাংকিংয়ে ৮১.১ স্কোর অর্জন করেছে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়। ২১. কর্নেল ইউনিভার্সিটি : নিউ ইয়র্কের ইথাকা শহরে অবস্থিত কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় আইভি লিগের সদস্য। কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন সিস্টেম কোর্সগুলোর গুণগতমানে ৮১.১ স্কোর পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ২০. ন্যানিয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি, সিঙ্গাপুর (এনটিইউ) : গবেষণাভিত্তিক এই বিশ্ববিদ্যালয়টি কিউএস র‌্যাংকিংয়ে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ২০তম স্থানে রয়েছে। কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন সিস্টেম কোর্সগুলোর জন্য ৮১.৩ স্কোর অর্জন করেছে। ১৯. হংকং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এইচকেইউএসটি) : ৮১.৪ স্কোর নিয়ে কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন সিস্টেম কোর্সগুলোর জন্য হংকংয়ের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে এইচকেইউএসটি এবং বিশ্বে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ১৯তম। ১৮. ইউনিভার্সিটি অব টোকিও : টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল শহরে অবস্থিত এবং এটি কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন সিস্টেম কোর্সগুলোতে বিশ্বের অন্যতম সেরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়। কিউএস স্কোর ৮১.৭। ১৭. ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন : সিয়াটলভিত্তিক ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন সিস্টেম কোর্সগুলোর উন্নত মানের কারণে কিউএস স্কোরে ৮১.৮ পয়েন্ট অর্জন করেছে। ১৬. পিকিং ইউনিভাসির্টি : বেইজিংয়ে অবস্থিত পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কম্পিউটার সায়েন্স (ইইসিএস) ডিপার্টমেন্টটি বৃহত্তম একটি ডিপার্টমেন্ট। ডিপার্টমেন্টটি কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন সিস্টেম কোর্সগুলোর জন্য কিউএস র‌্যাংকিংয়ে ৮১.৮ পয়েন্ট অর্জন করেছে। ১৫. সিংহুয়া ইউনিভার্সিটি : বেইজিংয়ের এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ৯টি অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয় ‘এলিট সি৯ লিগ’ গ্রুপের একটি। সিংহুয়ার কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন সিস্টেম কোর্সগুলোর বদৌলতে ৮২.২ স্কোর অর্জন করেছে। ১৪. ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্ন : অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় প্রাচীনতম এই বিশ্ববিদ্যালয়টি অনেকগুলো ক্ষেত্রে বিশ্বে খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়। যেমন এডুকেশন, ল, অ্যাকাউন্টিং, ফিন্যান্স, ডেন্টিস্ট্রি। কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন সিস্টেম কোর্সগুলোতে এটি বিশ্বে ১৪তম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। কিউএস স্কোর ৮২.৩। ১৩. ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেস (ইউসিএলএ) : ইউসিএলএ’র কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন সিস্টেম কোর্সগুলোর উন্নত মানের দরুন কিউএস স্কোর ৮৩.১। ১২. ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন : লন্ডনে অবস্থিত এই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টি বিজ্ঞান, প্রকৌশল, চিকিৎসাবিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষায় গুরুত্বারোপ করে থাকে। ইম্পেরিয়ালের কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন সিস্টেম কোর্সগুলোর উন্নত মানের কারণে কিউএস স্কোর ৮৩.৭। ১১. ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো : কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন সিস্টেম কোর্সগুলোর জন্য এটি কানাডার সেরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্বে সেরার তালিকায় ১১তম স্থানে রয়েছে। কিউএস স্কোর ৮৪.২। ১০.  ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর (এনইউএস) : সিঙ্গাপুরে উচ্চ শিক্ষার প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠান হচ্ছে এনইউএস। কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন সিস্টেম কোর্সগুলোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টি ৮৪.২ স্কোর অর্জন করেছে। ৯. ইটিএইচ জুরিখ- সুইস ফেডারেল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি : বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ একটি বিশ্ববিদ্যালয় এটি। ইটিএইচ থেকে ২১ জন শিক্ষার্থী/অধ্যাপক এ পর্যন্ত নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টি কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন সিস্টেম কোর্সগুলোর জন্য কিউএস স্কোর ৮৫.৪ অর্জন করেছে। ৮. প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি : যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে অবস্থিত আইভি লিগের অন্যতম একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রিন্সটন। ৩৫ জন নোবেল পুরস্কার এবং ১৭ জন ন্যাশনাল মেডেল অব সায়েন্স পেয়েছেন এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন সিস্টেম কোর্সগুলোর জন্য প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় ৮৫.৬ স্কোর অর্জন করেছে।  

৭. ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড : ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড শহরে এই বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি ভাষাভাষী জগতের সবচেয়ে পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়। ১১শ শতাব্দীর শেষ দিকে যাত্রা শুরু করা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এখনো বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অন্যতম হিসেবে পরিচিত। অক্সফোর্ড ৮৭.৮ পয়েন্ট অর্জন করেছেন। ৬. হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি : বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। তবে কিউএস ওয়ার্ল্ড র‌্যাংকিংয়ের তথ্যানুসারে, হার্ভার্ড কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন সিস্টেম কোর্সগুলোর দিক থেকে বিশ্বে ৬ষ্ঠতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। স্কোর ৮৮.৪। ৫. ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজ : ক্যামব্রিজ শহরটি যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম প্রযুক্তি হাবগুলোর মধ্যে অন্যতম। যার অন্যতম বড় একটি অংশ এই বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি হিসেবে পরিচিত ক্যামব্রিজ। কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন সিস্টেস কোর্সগুলোর জন্য ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বে পঞ্চম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। কিউএস র‌্যাংকিংয়ে ৮৮.৯ স্কোর অর্জন করেছে। ৪. ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলে (ইউসিবি) : মুগ্ধকর স্থাপনার এই বিশ্ববিদ্যালয়টি কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন সিস্টেস কোর্সগুলোর জন্য ৮৯.৯ স্কোর অর্জন করেছে। ৩. কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটি : যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের পিট্‌সবার্গ শহরে অবস্থিত খ্যাতনামা বেসরকারি গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে, কার্নেগি মেলন। বিশ্ববিদ্যালয়টি হার্ভার্ড এবং স্ট্যানফোর্ডের মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করতে না পারলেও, কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন সিস্টেম কোর্সগুলোতে কিউএস র‌্যাংকিংয়ে ৯১.৯ স্কোর অর্জন করায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় বিশ্বের তৃতীয় সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। ২. স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি : ক্যালিফোর্নিয়ার এই বিশ্ববিদ্যালয়টির সেরা মানের গ্র্যাজুয়েট তৈরির সুনাম রয়েছে। গুগল, এইচপি, ইনস্টাগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাট সহ বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারীদের দেখা মেলে। বিশ্ববিদ্যালয়টির স্কোর ৯৩.৬। ১. ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেট্‌স অঙ্গরাজ্যের কেমব্রিজে অবস্থিত এমআইটি বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ একটি বেসরকারি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। কম্পিউটার সায়েন্স ও ইনফরমেশন সিস্টেম কোর্সগুলোর ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্ব সেরা। কিউএস র‌্যাংকিংয়ে এমআইটি ৯৪ স্কোর অর্জন করে বিশ্বের সেরা প্রযুক্তি শিক্ষার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম স্থানে রয়েছে। এমআইটি’র ছাত্র ও শিক্ষক সম্মিলিতভাবে ৭৮টি নোবেল পুরস্কার এবং ৫০টি ন্যাশনাল মেডেল অব সায়েন্স অর্জন করেছে। এমআইটির প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যে যারা জীবিত রয়েছেন তাদের ওপর গার্ডিয়ানের একটি জরিপে দেখা গেছে, তাদের মাধ্যমে ২৫,৮০০টি নতুন কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং তিন মিলিয়নের বেশি মানুষকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ মে ২০১৭/ফিরোজ