বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সামাজিক বৈষম্য তৈরি করবে রোবট এবং এআই প্রযুক্তি!

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : বেশিরভাগ অর্থনীতিবিদ এই বিষয়ে একমত যে পরবর্তী কয়েক দশকে রোবটিক্স এবং এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষ তাদের কর্মক্ষেত্র থেকে ছিটকে পড়বে। কিন্তু এটা এর আগে কখনো বিবেচনা করা হয়নি যে, এই রোবটিক্স এবং এআই প্রযুক্তি সামাজিক গতিশীলতাকেও কতটা প্রভাবিত করতে পারে। যুক্তরাজ্যের দাতব্য প্রতিষ্ঠান ‘স্যাটন ট্রাস্ট’ এর একটি নতুন প্রতিবেদন কিন্তু এ বিষয়ে এখন থেকে ভাবতে বাধ্যই করছে। কারণ এই নতুন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, রোবটিক্স এবং এআই প্রযুক্তির এই অগ্রগতির ফলে সৃষ্ট অটোমেশন পদ্ধতি সমাজের মধ্যে বৈষম্য বৃদ্ধি করবে এবং ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে আরো বিভেদ সৃষ্টি করবে। প্রতিবেদনটির লেখকগণ অবশ্য এর পিছনে বেশ কিছু কারণের কথা উল্লেখ করেছেন। এই যেমন রোবটিক্স এবং এআই প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে ভবিষ্যতে নতুন চাকরিপ্রাপ্তির জন্য পুনরায় প্রশিক্ষণ নিতে ধনীদের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, যোগাযোগ দক্ষতা এবং আত্মবিশ্বাস এর মতো ‘আত্মিক দক্ষতা’গুলোর গুরুত্ব ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি পাবে এবং পেশাগত শিল্পে কাজের সংখ্যা হ্রাস পাবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, প্রশাসনিক কাজগুলো পরিচালনার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়ার সুবাদে সামনের দিনগুলোতে আভ্যন্তরীণ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার জন্য প্যারালেগাল এবং অনুরূপ পেশাজীবিদের চাহিদা হ্রাস পাবে। অদূর ভবিষ্যতে যুক্তরাজ্যে ৩৫০,০০০ এরও বেশি প্যারালেগাল, প্যারোল ম্যানেজার এবং বুকসাইপকাররা তাদের কাজ হারাতে পারে যদি স্বয়ংক্রিয় সিস্টেমগুলো একই কাজ করতে পারে! এই প্রতিবেদনটি অবশ্য যুক্তরাজ্যের প্রেক্ষাপটেই তৈরি করা হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে যে, প্রায় ১৫ মিলিয়ন চাকরি অটোমেশনের ঝুঁকিতে রয়েছে। কিন্তু সাটন ট্রাস্ট এর মতে, এই গবেষণার ফলাফল অন্যান্য উন্নত দেশগুলোর জন্যও প্রাসঙ্গিক, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেখানে সামাজিক স্থিতিশীলতা একটি বড় সমস্যা। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ আগস্ট ২০১৭/ফিরোজ