বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাঠ্যক্রমে ‘ডাটা সেন্টার প্রযুক্তি’ অন্তর্ভুক্তির তাগিদ

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : ডাটা সেন্টার ব্যবস্থাপনায় দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে প্রকৌশলী তৈরি হচ্ছে, তা পর্যাপ্ত নয় বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞগণ। দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়নে ডাটা সেন্টার প্রযুক্তি সংশ্লষ্টরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগে ‘ডাটা সেন্টার প্রযুক্তি’ বিষয় অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব দেন। বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হয়েছে ডাটা সেন্টার প্রযুক্তি সম্মেলন। বাংলাদেশি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডিসি আইকন ও ডাটা সেন্টার প্রফেশনাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত সম্মেলনে যোগ দিয়েছে ৯টি দেশের তথ্য ব্যবস্থাপনা খাতের বিশেষজ্ঞ ও প্রযুক্তিবিদ। দুদিনের সম্মেলনের উদ্বোধনীপর্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ইমরান আহমেদ এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান শাজাহান মাহমুদ। সংসদ সদস্য ইমরান আহমেদ বলেন, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশনের অন্যতম উদ্যোগ- ফোর টায়ার ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার। আমাদের দেশের প্রযুক্তি তথ্য ব্যবস্থাপনায় দক্ষ মানব সম্পদ পর্যাপ্ত নয়। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের সঙ্গে ডাটা সেন্টার বিষয়টি অন্তুর্ভুক্তি করে দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়নে নজর দেয়া দরকার। তথ্য ব্যবস্থাপনায় নীতিমালার বিষয়ে ইমরান আহমেদ বলেন, সংসদে আইন পাশ করে তথ্য নিরাপত্তা দেয়ার আগে আমাদের দেশের প্রকৌশলী ও শিক্ষাবিদদের ডাটা সেন্টার নিয়ে দক্ষতা উন্নয়ন করতে হবে। না হলে, তথ্য নিরাপত্তায় নেতিবাচক প্রভাব পড়লে তা সমাধানে আমাদের বিদেশ নির্ভরতা বাড়বে। বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাজাহান মাহমুদ বলেন, দেশে প্রযুক্তিভিত্তিক কার্যক্রম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে তথ্যের পরিমাণ। দেশে বর্তমানে ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রযুক্তির ব্যবহার জনপ্রিয়। এতো বড় জনগোষ্ঠীর প্রযুক্তি তথ্য ব্যবস্থাপনায় ডাটা সেন্টার প্রযুক্তি সম্ভাবনাময়। এই খাতে অভ্যন্তরীণ দক্ষতা উন্নয়নে আমাদের মনযোগী হতে হবে। আয়োজক প্রতিষ্ঠান ডিসি আইকনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ পারভেজ বলেন, আমাদের দেশে ২০১০ সাল থেকেই বাণিজ্যিক কার্যক্রমে ডাটা সেন্টার প্রযুক্তির প্রচলন শুরু হয়েছে। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য সেবা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও ডাটা সেন্টার প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তি বাড়ছে। দ্বিতীয় বারের মতো আয়োজিত এই সম্মেলনে আমরা প্রযুক্তিভিত্তিক তথ্য জমাকরণের উপরে দেশীয় প্রযুক্তিবিদদের দক্ষতা উন্নয়নের ওপর জোর দিচ্ছি। উদ্বোধনী পর্বে আরো বক্তব্য রাখেন অ্যাশরে বাংলাদেশ অংশের সভাপতি মানস কুমার মিত্র, আন্তর্জাতিক ডাটা সেন্টার মান প্রতিষ্ঠান আপটাইমের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রধান জন ডাফিন, ডাটা সেন্টার সেবা প্রতিষ্ঠান কোলো এশিয়া পরিচালক মেহরীন নাসির, শার্ক লিমিটেডের চেয়ারম্যান জোসেফ বি ইউসিলিস প্রমুখ। আয়োজকরা জানান, দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে ৯টি দেশের ৩০টি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি প্রদর্শনীর পাশাপাশি ডাটা সেন্টার প্রযুক্তি বিষয় সংশ্লিষ্ট ৫০টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭/ফিরোজ