বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অ্যাপল হেডকোয়ার্টারে ‘দুর্ঘটনার’ মিছিল!

মো. রায়হান কবির : স্টিভ জবস মারা যাওয়ার আগেই অ্যাপল এর নতুন হেডকোয়ার্টারের ডিজাইন করে গিয়েছিলেন। তার করা ডিজাইনে কাঁচের আধিক্যই ছিল বেশি। ৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে সদ্য নির্মিত এই হেডকোয়ার্টার ‘স্পেশশিপ’ ক্যাম্পাস নামেই পরিচিত। কেননা এটার আদল অনেকটা স্পেশশিপের মতোই। কাঁচের তৈরি এই হেডকোয়ার্টারে ঘিরে পরিকল্পিত ভাবে লাগানো হয়েছে ৪ হাজার ৬০০ গাছ। এই হেডকোয়ার্টারের দেয়াল বা দরজা তৈরি কাঁচ দিয়ে। ফলে এর কাঁচের দেয়াল বিশেষ বৈশিষ্ট্য যুক্ত। অনেকটা আড়াআড়ি ভাবে ঈষৎ ঢালু এই দেয়ালে বৃষ্টির পানি হেলে পরার ব্যবস্থা আছে। মানে বৃষ্টির পানি বা অন্যকোনো পানি এই কাঁচের দেয়ালে জমবে না। কিন্তু যারা এই হেডকোয়ার্টারে চাকরি করেন, তাদের অনেকের কাছেই এই দেয়াল এখন দুর্ঘটনার প্রতীক। কেননা উদ্বোধনের দিন, অর্থাৎ এই বছরের জানুয়ারি মাসের ২ তারিখেই দুজন হাঁটতে গিয়ে কাঁচের দেয়ালকে খোলা জায়গা ভেবে আঘাত পেয়েছেন। তাদের দুজনেরই বয়স ছিল বিশের কিছু বেশি। শুধু তাই নয়, ঠিক তার পরের দিনই বয়স পঞ্চাশের জনৈক চাকরিজীবীও একই ঘটনার মুখোমুখি হন। অর্থাৎ ভবনটির ভেতরে কাঁচের দেয়ালগুলো এতোই স্বচ্ছ যে, তা শূন্য ভেবেই ভ্রম হয়। ফলে কেউ দরজা খুঁজতে গিয়ে কেউবা হেডকোয়ার্টারের বাইরে বেরতে গিয়ে চোখে বা মুখে আঘাত পাচ্ছেন। কিন্তু এই তথ্য এতদিন গোপন ছিল। সম্প্রতি আঞ্চলিক এক পত্রিকা সেদেশের হেল্প লাইন ৯৯৯ এর কলের তথ্য সূত্র ধরে এই তথ্য প্রকাশ করেছে। সেই পত্রিকায় অ্যাপলের কর্মীদের কথোপকথনও প্রকাশ পেয়েছে। ৪৫ ফুট উচ্চতার গ্লাস প্যানেল দিয়ে তৈরি অ্যাপল হেডকোয়ার্টারের এই ত্রুটি অনেককেই চমকে দিয়েছে। এখন নাকি অ্যাপল কর্তৃপক্ষ কাঁচের দেয়ালে দিক নির্দেশক দেয়ার কথা ভাবছে। অ্যাপলের এই স্পেশশিপ হেডকোয়ার্টার নিয়ে বিশ্বব্যাপী মানুষের আগ্রহ ছিল আকাশচুম্বী। কিন্তু সেই কাঙ্ক্ষিত অফিসই যে দুর্ঘটনা ডেকে আনবে কে ভেবেছিল? তাই বলা যায়, চাঁদেরও যেমন কলঙ্ক আছে তেমনি অ্যাপলও তার ৫ বিলিয়ন ডলারের হেডকোয়ার্টার নির্মাণে কিছু কলঙ্ক এড়াতে পারলো না। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৬ মার্চ ২০১৮/ফিরোজ