বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘অ্যাডভান্স টেকনোলজি নিয়ে কাজ করতে চাই’

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের উন্নত প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে হবে। যাতে তারা দেশের পাশাপাশি বর্হিবিশ্বের সঙ্গে তাল মিলে কাজ করতে পারে এবং সঠিক মূল্যায়ন পায়। আমি এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে চাই। অর্থাৎ আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের উন্নত প্রশিক্ষিত করে তোলা। আর এটা বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) থেকে করা সম্ভব। এমনটিই বলছিলেন স্টার কম্পিউটার সিস্টেম লিমিটেডের ডিরেক্টর ও সিওও রেজওয়ানা খান। কিছুটা হতাশ হয়ে এই সফল নারী উদ্যোক্তা বলেন, আমি বাইরের অনেক কাজ করি। তবে কষ্ট লাগে যখন দেখি একই প্রজেক্টটে আমাদের দেশের মানুষ যে মূল্যায়ান পাচ্ছে বিদেশের অন্যান্যরা এর চেয়ে বেশি মূল্যায়ন পাচ্ছে। এর কারণ হল ওই প্রজেক্টে অংশ নেয়া বাইরের ব্যক্তিটিকে ট্রেইনআপ করে পাঠানো হয়েছে। এই কারণেই সে এগিয়ে গেছে। ফলে আমাদের বেসিস থেকে এটি করার একটি চিন্তা মাথায় আছে আমার। এতে করে প্রযুক্তিতে দেশ এগিয়ে যাবে। আর্থিক ভাবে আমরা লাভবান হবো। বাংলাদেশ উইমেন ইন আইটির (বিডব্লিউআইটি) সভাপতি ও সফটওয়্যার কোম্পানি দোহাটেক নিউ মিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান লুনা শামসুদ্দোহার ‘উইন্ড অব চেঞ্জ’ প্যানেলে অংশ নিয়ে এবারের বেসিস নির্বাহী কমিটির নির্বাচনে লড়ছেন এই নারী উদ্যোক্তা। নির্বাচনে জয়ী হয়ে দুই বছর মেয়াদের মধ্যে অ্যাডভান্স টেকনোলজি নিয়ে কাজ করতে পারে এমন একটি দল গঠন করতে চান তিনি। ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে দেশের আইসিটি খাতে সফলতার সঙ্গে ব্যবসা করে যাচ্ছেন এই নারী উদ্যোক্তা। তার ভাষ্য অনুযায়ী, নানা বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে এই পর্যায়ে আসতে হয়েছে তাকে। তার মতে, তার বাধা বিপত্তির জায়গাগুলোতে যাতে অন্যদের পড়তে না হয় সেই ধরনের চিন্তাভাবনা করছেন তিনি। নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমি পজিটিভ। এবারের বেসিস নির্বাচনে অনেকেই অংশ নিয়েছে। এ থেকে বোঝা যায় বেসিস একটি লেভেলে গেছে। যার কারণেই বেসিস থেকেই মন্ত্রী হয়েছেন প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার। তিনি থাকা অবস্থায় বেসিস এগিয়ে যাচ্ছিল। তিনি যাওয়ার পর বেসিস কিন্তু একটি অন্য লেভেলে চলে গেছে। আমাদের চিন্তা হল ইয়ুথ ও সিনিয়র লেভেল নিয়ে ভালো একটি কিছু করার।’ এই নারী উদ্যোক্তা বলেন, আমি বেসিস সদস্যদের জন্য হেল্পডেস্ক তৈরি করে চাই। যাতে করে কোনো সমস্যায় এই হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে দ্রুত এবং সঠিক ভাবে তাদের সমস্যাটা সমাধান করা যায়। আমি দেখেছি অনেক উদ্যোক্তার ব্যবসা করতে গিয়ে অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হয়, সদস্যরা যাতে সমস্যার সঠিক গাইডলাইন পায়, সেটা নিয়েও আমি কাজ করবো। ‘আমি ১৪ বছর আইসিটি বিজনেসে রয়েছি। এ ছাড়া আমি একেবারেই টেকনিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ডের। আমি পড়াশুনা করার সময়ই চিন্তা করেছিলাম আমি ব্যবসা করব এবং তা টেকনোলজি লাইনেই করব। আমার টার্গেট এটিই ছিল। আমার কাছে মনে হয়েছে যে ১৪ বছর অনেক সময়। আমি অনেক বাধা পেড়িয়ে এতদূর এসেছি, কিছু স্টাবলিশ করতে পেরেছি। অর্থাৎ আমার কোম্পানির এখন নিজে চলতে পাড়ার ক্ষমতা রয়েছে। ফলে আমি আমার দিক থেকে বেসিসকে দুই বছর সময় দিতে পাড়ার ক্ষমতা রয়েছে। আমার চিন্তাভাবনা হচ্ছে, বেসিসের মাধ্যমে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে আরেক ধাপ সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।’ রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ মার্চ ২০১৮/ফিরোজ