বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : তরুণদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ব্যাটারি চালিত সাইকেল (ই-বাইক)। পরিবেশবান্ধব ই-বাইক চালনায় পরিশ্রম কম এবং এটি যাতায়াত খরচ অনেকাংশে কমিয়ে আনে। আমদানিকৃত বিদেশি ইলেকট্রিক সাইকেলের দাম আকাশছোঁয়া। ফলে সাধ থাকলেও সাধ্য হয়ে ওঠে না। আবার অনেকেই নিজের সাইকেলটিকে সহজে ই-সাইকেলে পরিণত করে নিতে পারছেন না। কারণ, ই-সাইকেল তৈরির যন্ত্রাংশের দাম হাজার দশেকের বেশি। এই সমস্যার সমাধানে সাশ্রয়ী দামে ইলেকট্রিক বাইক তৈরির যন্ত্রাংশ বিক্রি করছে দেশি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান ‘ডিএমআরই’। এই যন্ত্রাংশ অনায়াসেই যেকোনো সাইকেলে সংযোজন করে ই-বাইক বানিয়ে নেয়া যাবে। সাইকেল মেকানিকের সহায়তায় কিংবা নিজে নিজেই এই যন্ত্রাংশ সংযোজন করা যাবে। সাধারণ সাইকেলকে সহজে ব্যাটারি চালিত সাইকেলে পরিণত করার জন্য মটরসহ কমপ্লিট সেট তৈরি করেছে ডিএমআরই। তাদের এই ই-বাইক এক চার্জে চলবে ৫০ কিলোমিটার। এর মোটর ছোট আকারের। ফলে সাইকেলের পেছনের চাকায় সহজেই লাগানো যাবে। তবে এই যন্ত্রাংশের সঙ্গে ব্যাটারি নেই। আছে মোটর ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ। আলাদাভাবে ১২ ভোল্টের দুটি ব্যাটারি কিনে লাগাতে হবে। ১২ ভোল্টের রিচার্জেবল ব্যাটারির দাম ১৫০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যে। ডিএমআরই-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকতা জি এ টুটুল বলেন, ‘পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক সাইকেলের কদর বিশ্বজোড়া। গ্রামেগঞ্জে শিক্ষার্থীরা সাইকেলে চেপে রোজ স্কুল-কলেজে যায়। দীর্ঘপথ সাইকেল চালানোর ফলে তারা ক্লান্ত হয়ে যায়। আমাদের ই-সাইকেলের কিট সাইকেলে সংযোজন করলে সময় যেমন বাঁচবে তেমনি যাত্রার ক্লান্তি থেকেও রেহাই পাওয়া যাবে।’ জি এ টুটুল আরো বলেন, ‘ধরুন আপনি ই-সাইকেল নিয়ে বের হলেন কিন্তু পথে ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে গেল। ভয় নেই। সাধারণ সাইকেলের মতোই প্যাডেল ঘুরিয়ে বাকি পথ পাড়ি দেওয়া যাবে।’ টুটুল জানান, তাদের ই-সাইকেল কিটে রাতে পথের অন্ধকার দূর করতে রয়েছে হেড লাইট। পথচারীদের সতর্ক করার জন্য আছে হর্ন। এছাড়াও চলতি পথে মোবাইল ফোন চার্জ দেয়ার জন্য রয়েছে চার্জার। ডিএমআরই’র ই-বাইকের কিটের দাম মাত্র ৪ হাজার ৫০০ টাকা। যে কেউ এই কিট যেন নিজেই সংযোজন করতে পারে সেজন্য ডিএমআরই একটি ভিডিও তৈরি করেছে। ভিজিট : https://www.dmrebd.com/product/cycle-motor-kit।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ মার্চ ২০১৮/ফিরোজ/শাহনেওয়াজ