বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দামি এবং ধনীর তালিকায় প্রযুক্তির জয়জয়কার

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : সময়টা এখন প্রযুক্তির। হয়তো তাই আয়ের দিক থেকে প্রযুক্তি খাতের সঙ্গে পেরে উঠছে না অন্য কোনো খাত। যেমন বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড কোনো লাক্সারি, বেভারেজ, রিটেইল, অটোমোটিভ কিংবা অ্যাপারেল খাতের ব্র্যান্ড নয়, বরঞ্চ প্রযুক্তি খাতের একটি ব্র্যান্ড-অ্যাপল। চলতি বছরের মে মাসে প্রকাশিত ফোর্বসের প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমান সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ১০টি ব্র্যান্ডের মধ্যে ৬টি ব্র্যান্ডই প্রযুক্তি খাতের। সবচেয়ে দামি ১০ ব্র্যান্ড-

১. অ্যাপল (প্রযুক্তি)

২. গুগল (প্রযুক্তি)

৩. মাইক্রোসফট (প্রযুক্তি)

৪. ফেসবুক (প্রযুক্তি)

৫. আমাজন (প্রযুক্তি)

৬. কোকাকোলা (বেভারেজ)

৭. স্যামসাং (প্রযুক্তি)

৮. ডিজনি (লেইজার)

৯. টয়োটা (অটোমোটিভ)

১০. এটিঅ্যান্ডটি (টেলিকম) এদিকে ৬ জুলাই শুক্রবার, ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিশ্বে প্রথমবারের মতো শীর্ষ তিন ধনী ব্যক্তিই প্রযুক্তি খাতের। এতদিন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির তালিকায় প্রথম অবস্থানে ছিলেন আমাজনের সিইও জেফ বেজোস (প্রযুক্তি), দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস (প্রযুক্তি) এবং তৃতীয় অবস্থানে ছিলেন বার্কশায়ার হ্যাথওয়ে ইনকরপোরেশনের সিইও ওয়ারেন বাফেট (ডাইভারসিফায়েড)। তবে শুক্রবার প্রকাশিত ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ারস সূচকে দেখা গেছে, ওয়ারেন বাফেটকে টপকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনীর তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছেন ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ (প্রযুক্তি)। অর্থাৎ বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ তিন ধনীর প্রত্যেকেই প্রযুক্তি খাতের। ৩৪ বছর বয়সি মার্ক জাকারবার্গের বর্তমানে সম্পদের পরিমাণ ৮ হাজার ১৬০ কোটি মার্কিন ডলার, যা ৮৭ বছর বয়সি ওয়ারেন বাফেটের সম্পদের চেয়ে ৩৭ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার বেশি। ফেসবুকের শেয়ারের বাড়ায় সম্পদের মূল্যে বাফেটকে টপকে গেছেন জাকারবার্গ। আমাজনের সিইও জেফ বেজোসের সম্পদের পরিমাণ ১৪ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার এবং মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের সম্পদের পরিমাণ ৯ হাজার ৪২০ কোটি মার্কিন ডলার। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ারস সূচক অনুযায়ী বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী হলেন:

১. জেফ বেজোস (প্রযুক্তি)।

২. বিল গেটস (প্রযুক্তি)।

৩. মার্ক জাকারবার্গ (প্রযুক্তি)।

৪. ওয়ারেন বাফেট (ডাইভারসিফায়েড)।

৫. আমানসিও ওর্তেগা (রিটেইল)।

৬. বার্নার্ড অ্যারানাল্ট (কনজ্যুমার)।

৭. কার্লোস স্লিম (ডাইভারসিফায়েড)।

৮. ল্যারি পেজ (প্রযুক্তি)।

৯. সের্গেই ব্রিন (প্রযুক্তি)।

১০. ল্যারি এলিসন (প্রযুক্তি)। তথ্যসূত্র : সিনেট  

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ জুলাই ২০১৮/ফিরোজ