বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ওয়ার্ল্ড সামিট পুরস্কারের বাংলাদেশ পর্বের নিবন্ধন শুরু

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : ওয়ার্ল্ড সামিট পুরস্কার ২০১৮ (ডব্লিউএসএ)- এর জন্য বাংলাদেশ থেকে নিবন্ধন শুরু হয়েছে। এবার বাংলাদেশ পর্বে ওয়ার্ল্ড সামিট পুরস্কার ও বাংলাদেশি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এমসিসি লি. এর যৌথ উদ্যোগে এই নিবন্ধন ও বাছাই পর্বের কাজ সম্পাদিত হবে। নির্বাচিত উদ্যোগগুলোই বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য সরাসরি বাংলাদেশ থেকে মনোনীত হবে। ওয়ার্ল্ড সামিট পুরস্কার এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে, সারা বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তির নতুন ধরনের সকল সুযোগ সুবিধাগুলোকে সমাজের সকল মানুষের কাছে উপযোগী ও সহজলভ্য করে তোলা এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে সর্বোচ্চ মানের ডিজিটাল অ্যাপ্লিকেশন উদ্যোগকে প্রাপ্য স্বীকৃতি প্রদান। প্রতিযোগীরা এবার যে আটটি বিষয়ের ওপর তাদের উদ্ভাবনী প্রকল্প জমা দিতে পারবেন, সেগুলো হচ্ছে- গভর্নমেন্ট অ্যান্ড সিটিজেন এনগেজমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড ওয়েল বিয়িং, লার্নিং অ্যান্ড এডুকেশন, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড গ্রিন এনার্জি, কালচার অ্যান্ড ট্যুরিজম, স্মার্ট সেটেলমেন্ট অ্যান্ড আরবানাইজেশন, বিজনেস অ্যান্ড কমার্স, ইনক্লুশন অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট। পুরস্কারের জন্য জমাকৃত প্রকল্পগুলো দেশ সেরা প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা মূল্যায়ন করবেন এবং এখান থেকে প্রতিটি বিভাগে সর্বমোট ৩ জন করে ২৪ জন বিজয়ীকে দেশের সেরা ডিজিটাল উদ্যোগ হিসেবে সম্মাননা দেয়া হবে। প্রতিযোগিতার প্রতিটি বিভাগে বিজয়ী সেরা ৮টি (১ম স্থান) উদ্যোগ ওয়ার্ল্ড সামিট পুরস্কার ২০১৮ (ডব্লিউএসএ) বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য সরাসরি বাংলাদেশ থেকে মনোনীত হবে।   ‘ওয়ার্ল্ড সামিট পুরস্কার, বাংলাদেশ ২০১৮’ পুরস্কার, সরকারি/বেসরকারি/প্রযুক্তি শিল্পের সঙ্গে জড়িত যেকোনো কোম্পানি, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির জন্য উন্মুক্ত। সকল মোবাইল ও ওয়েবভিত্তিক প্রযুক্তির অ্যাপ্লিকেশন, কিয়োস্ক, এসএমএসভিত্তিক পণ্য, মোবাইল গেমস, ইন্টার‍অ্যাকটিভ মোবাইল কন্টেন্ট, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) সম্পর্কিত প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। প্রকল্পের সঙ্গে প্ল্যাটফর্ম বা চ্যানেল সম্পর্কিত কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীদের পূর্ণাঙ্গ প্রকল্প জমা দিতে হবে। ড্রাফট, পরীক্ষামূলক বা অসম্পূর্ণ প্রকল্প গ্রহণযোগ্য নয়। একটি প্রকল্প কেবল একটি ক্যাটাগরিতে জমা দেওয়া যাবে। একই প্রতিষ্ঠানের একাধিক প্রকল্প জমার ক্ষেত্রে প্রতিটি প্রকল্পের জন্য আলাদা আলাদা নিবন্ধন করতে হবে। আবেদনের জন্য এই লিংকে প্রবেশ করে: লিংকটিতে উল্লিখিত প্রক্রিয়া/পদ্ধতি অনুসরণ করে আগামী ১০ আগস্টের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ জুলাই ২০১৮/ফিরোজ