বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য শুরু হচ্ছে স্ল্যাশ ২০১৮ প্রতিযোগিতা

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন উদ্যোগ (স্টার্টআপ) নিয়ে ইউরোপের সবচেয়ে বড় আয়োজন ‘স্ল্যাশ ২০১৮ গ্লোবাল ইমপ্যাক্ট এক্সিলারেটর’-এ তৃতীয়বারের মতো অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর ফিনল্যান্ডের হেলসিংকিতে অনুষ্ঠিতব্য এই ইভেন্টে অংশ নিয়ে বিশ্বের বড় বড় অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে নিজেদের উদ্ভাবনী প্রকল্প তুলে ধরতে পারবেন প্রতিযোগীরা। সেখান থেকে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রকল্প পছন্দ হলে মিলতে পারে অর্থায়ন। এ লক্ষ্যে ঢাকায় শুরু হচ্ছে একটি ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতা। বৈশ্বিক এই আয়োজনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের দায়িত্ব পেয়েছে এমসিসি লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এমল্যাব। এম-ল্যাব, স্ল্যাশের আয়োজনে ঢাকায় শুরু হচ্ছে ‘স্ল্যাশ ২০১৮ গ্লোবাল ইমপ্যাক্ট এক্সিলারেটর’ শীর্ষক ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এ লক্ষ্যে শুরু হয়েছে অনলাইন নিবন্ধন কার্যক্রম যা চলবে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত। আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে পিচিং কম্পিটিশন অনুষ্ঠান হবে। অনুষ্ঠান থেকে প্রযুক্তিবোদ্ধা জুরি বোর্ড সদস্যরা স্ল্যাশ গ্লোবাল ইভেন্টে বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণকারী তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে থেকে সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে একটিকে সেরা হিসেবে মনোনীত করবে। চূড়ান্ত একজন বিজয়ী হেলসিংকিতে গ্লোবাল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবে। এম ল্যাব জানিয়েছে, এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশের সবচেয়ে উদ্ভাবনী স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্বাচিত করা হবে। বিজয়ী প্রতিষ্ঠানগুলো আকর্ষণীয় পুরস্কারের পাশাপাশি ইউরোপের সবচেয়ে বড় স্টার্টআপ প্রযুক্তি প্লাটফর্মে নিজেদের উদ্ভাবনকে বৈশ্বিক পর্যায়ে তুলে ধরার সুযোগ পাবেন। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য  লিংকে গিয়ে একটি ফরম পূরণ করতে হবে। এই আয়োজন সম্পর্কে এমসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আবির বলেন, ‘আমরা স্ল্যাশ গ্লোবাল ইমপ্যাক্ট এক্সিলারেটর-২০১৮ ইভেন্টে বাংলাদেশকে তৃতীয়বারের মতো অর্ন্তভূক্ত করতে পেরে আনন্দিত। ইউরোপের সবচেয়ে বড় স্টার্টআপ ইভেন্টে গিয়ে সমগোত্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের তুলে ধরতে পারবে, পারস্পরিক মতবিনিময়ের সুযোগ পাবে অংশগ্রহণকারীরা। এছাড়া বিশ্বের বড় বড় ভেঞ্চার ক্যাপিট্যাল কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে অর্থায়নও পেতে পারেন। সবচেয়ে প্রভাবশালী এই ইভেন্টে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো এবারও সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখবে বলে আশা করি।’ প্রসঙ্গত, এ বছর ১০০টির বেশি দেশ থেকে হেলসিংকিতে ১৫ হাজার দর্শনার্থী স্ল্যাশ গ্লোবাল ইমপ্যাক্ট এক্সিলারেটরে অংশ নেবে। বাংলাদেশ থেকে ২০১৬ সালে ‘এরএক্স৭১ লিমিটেড’ এবং ‘টেন মিনিট স্কুল’ এবং ২০১৭ সালে ‘সার্জ ইঞ্জিনিয়ারিং’ ও ‘জলপাই’ নামে দুটি উদ্ভাবনী উদ্যোগ স্ল্যাশ গ্লোবাল ইভেন্টে অংশগ্রহণের জন্য বিজয়ী হয়েছিল। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ আগস্ট ২০১৮/ফিরোজ