বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ওয়ার্ল্ড সামিট অ্যাওয়ার্ডস বাংলাদেশ জিতেছে জেমসক্লিপ

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : দেশের সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) ই-কমার্স প্লাটফর্ম জেমসক্লিপ লোকাল নমিনি হিসেবে ব্যবসা ও বাণিজ্য ক্যাটাগরিতে ওয়ার্ল্ড সামিট অ্যাওয়ার্ডস বাংলাদেশ ২০১৮ পুরস্কার জিতেছে। অংশগ্রহণকারী দেশগুলো থেকে স্থানীয় মনোনীতরা ভিয়েনাতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে এবং ‘গ্লোবাল চ্যাম্পিয়ন’ শিরোপার জন্য লড়বে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্রয় ব্যবস্থাপকদের ভোগান্তি কমিয়ে ও সময় বাঁচিয়ে জেমসক্লিপ সেরামানের পণ্য সরবরাহ করে থাকে। ইজেনারেশন গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ও মাত্র এক বছরের পুরাতন এই বিটুবি সাইটটি অনন্য ব্যাবসায়িক প্রস্তাবনা ও বাজার প্রভাবের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে। গতবছর প্রতিষ্ঠানটি স্টার্টআপ অব দ্য ইয়ার ক্যাটাগরিতে সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে। সম্প্রতি রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আইডিয়া প্রকল্পের ইনভেস্টমেন্ট অ্যাডভাইজর ফর স্টার্টআপ বাংলাদেশ টিনা জাবিন এই পুরস্কার তুলে দেন। জেমসক্লিপের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী মনোয়ার হোসেন খান, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ব্যবস্থাপক আহনাফ মহসিন ও অপারেশন বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক প্রদীপ বিশ্বাস। জেমসক্লিপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রোমি এফ আহসান বলেন, ‘এই পুরস্কার জেমসক্লিপকে উদ্ভাবন, প্রযুক্তিগত প্রসার, স্বচ্ছতা এবং ব্যয় হ্রাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্রয় খাতকে পাল্টে দিতে ও ডিজিটালাইজ করতে অনুপ্রাণিত করবে।’ জেমসক্লিপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন খান এই অর্জনে তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা এই মনোনয়ন পেয়ে খুবই আনন্দিত। এই চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রথম প্রকিউরমেন্ট ট্র্যাকিং ও সহজে পুনরায় অর্ডার করার সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান জেমসক্লিপকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে পরিচিতি দিলো।’ ওয়ার্ল্ড সামিট অ্যাওয়ার্ডস একটি সম্মানজনক ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পুরস্কার, যা জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) এর ফ্রেমওয়ার্কের অধীন প্রতিষ্ঠা হয় এবং ডব্লিউএসআইএস প্লান অব অ্যাকশনে পরিচালিত হয়। ইউনেস্কো ও ইউনিডোকে সহায়তা দানকারী এই প্রতিযোগিতাটির আয়োজক অস্ট্রিয়ার ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর নিউ মিডিয়া (আইসিএনএম)। বাংলাদেশের সেরা ডিজিটাল কনটেন্ট ডেভেলপার ও উদ্ভাবনী অ্যাপ্লিকেশন নির্বাচন ও প্রচার এবং তাদের ব্যবসাকে আন্তর্জাতিকভাবে ডব্লিউএসএ গ্লোবাল কংগ্রেসে তুলে ধরার সুযোগ দিতে ওয়ার্ল্ড সামিট অ্যাওয়ার্ড বাংলাদেশ ২০১৮ আয়োজন করা হয়। স্টার্টআপ বাংলাদেশ এবং বেসিসের সহযোগিতায় এই আয়োজনটি করেছে এমসিসি লিমিটেড। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮/ফিরোজ