বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বদলে গেল ওয়াই-ফাই প্রযুক্তির নাম

তাজিম মাহমুদ প্রিন্স : অবশেষে বদলে যাচ্ছে ওয়াই-ফাই প্রযুক্তিগুলোর নামের ধরন। এতকাল ওয়াই-ফাই প্রযুক্তিগুলোর যে দীর্ঘ আর দূর্বোধ্য নাম ছিল এখন আর তেমনটি থাকছে না। এখন থেকে দীর্ঘ আর দূর্বোধ্য নামের পরিবর্তে থাকবে সহজতর নাম। বাজারে একটি ওয়াই-ফাই রাউটার কিনতে গেলে আপনি হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন যে রাউটারটির পেছনে একটি গোপন নম্বর থাকে এবং বেশিরভাগ  গ্রাহকই জানেন না এই নম্বরের অর্থ কি। নম্বরটি শুরু হয় 802.11 দিয়ে  এবং এরপর কিছু অক্ষর থাকে যেমন ‘ac’, ‘n’‍। এই অক্ষর ও সংখ্যাগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু অধিকাংশ মানুষই জানেন না এগুলো কেন ও কিভাবে কাজ করে। এই কোডগুলো আসলে খুবই দরকারী কিছু অর্থ বহন করে। বিভিন্ন প্রজন্মের ওয়াই-ফাই প্রযুক্তিগুলোর এই কোডের অন্তরালেই লুকিয়ে থাকে ডিভাইসটির ডাটা প্রেরণ ও গ্রহণ ক্ষমতা। কিন্তু নামগুলো পুরোপুরি বিভ্রান্তিকর বলে মনে হয়, কারণ এর মাধ্যমে বোঝার কোনো উপায় নেই যে এগুলো প্রকৃতপক্ষে কি অর্থ প্রকাশ করছে বা ওয়াই-ফাইয়ের কোন প্রযুক্তিটি বাজারে নতুন। এখন থেকে, ওয়াই-ফাই প্রযুক্তির বিভিন্ন ভার্সনের নামগুলো সহজ সংখ্যা দ্বারা প্রকাশ করা হবে। যার ফলে খুব সহজেই গ্রাহক বুঝতে সক্ষম হবেন কোনটি বাজারে নতুন এসেছে। ‘ওয়াই-ফাইয়ের নতুন ভার্সন বাজারে আসলেই পূর্বের সংখ্যার সঙ্গে এক (১) যোগ হবে’ ওয়াই-ফাই অ্যালায়েন্স এমনটিই ঘোষণা করেছে। পূর্ববর্তী ওয়াই-ফাই প্রযুক্তিও তাদের নাম পরিবর্তন করবে। এখন থেকে ‘802.11ac’ এর নাম হবে ‘ওয়াই-ফাই ৫’ এবং তার আগের ভার্সন ‘802.11n’ এর নাম হবে ‘ওয়াই-ফাই ৪’। পরবর্তী প্রজন্মের ওয়াই-ফাই প্রযুক্তি যেটা ‘802.11ax’ নামে পরিচিত, এর নাম হবে ‘ওয়াই-ফাই ৬’। ওয়াই-ফাই অ্যালায়েন্সের সভাপতি ও সিইও এডগার ফিগুরোয়া বলেন, ‘প্রায় দুই দশক ধরে, ওয়াই-ফাই ব্যবহারকারীরা তাদের ডিভাইসগুলো সর্বশেষ ওয়াই-ফাই সমর্থন করে কিনা তা নির্ধারণের জন্য প্রযুক্তিগত নামকরণের কনভেনশনগুলো অনুসরণ করে এসেছেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘ওয়াই-ফাই অ্যালায়েন্স নতুন ওয়াই-ফাই ৬ সবার সামনে আনতে পেরে খুবই আনন্দিত। এই নতুন নামকরণ প্রকল্পটির মাধ্যমে ওয়াই-ফাই শিল্প ও ওয়াই-ফাই ব্যবহারকারীরা এখন থেকে সহজেই জানতে পারবেন তাদের ডিভাইস বা সংযোগ কোন প্রজন্মের ওয়াই-ফাই প্রযুক্তি সমর্থন করে।’ ওয়াই-ফাই প্রযুক্তির সহজবোধ্য নতুন নামটি কম্পিউটারের মনিটর ও মোবাইল স্ক্রিনে প্রদর্শিত হবে, আর গ্রাহক জেনে যাবেন যে তিনি কোন ভার্সনের ওয়াই-ফাইয়ের সঙ্গে সংযুক্ত আছেন। এর মাধ্যমে গ্রাহক তার সংযোগের গতি সম্পর্কেও নিশ্চিত হবেন এবং এই সংযোগে আরো দ্রুত বা ধীর গতি আশা করা উচিত কিনা তাও জানতে পারবেন। তথ্যসূত্র : ইন্ডিপেন্ডেন্ট রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ অক্টোবর ২০১৮/ফিরোজ