বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুই বছরের জন্য বন্ধ সবচেয়ে বড় মেশিন

আহমেদ শরীফ : বিশ্বের সবচেয়ে বড় মেশিন, বস্তুর ক্ষুদ্রতম কণা নিয়ে গবেষণা করা সবচেয়ে বড় গবেষণাগার- লার্জ হ্যাড্রন কলাইডার দুই বছরের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা। বি ব্যাং বা মহা বিস্ফোরণের মাধ্যমে মহাবিশ্ব সৃষ্টির সময় যে পরিস্থিতি ছিল, অনেকটা তেমন পরিস্থিতি গড়ে তুলে বস্তুর ক্ষুদ্রতম কণা নিয়ে গবেষণা করা হয় সুইজারল্যান্ডে অবস্থিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই মেশিনে। এর সঙ্গে জড়িত আছেন শতাধিক দেশের কয়েক হাজার বিজ্ঞানী। আমাদের ব্যবহার করা কম্পিউটার আপগ্রেড করতে হলে তা যেমন বন্ধ রাখতে হয়, তেমনি বিশ্বের সবচেয়ে বড় মেশিন, বস্তুর ক্ষুদ্রতম কণা নিয়ে গবেষণা করা সবচেয়ে বড় গবেষণাগার- লার্জ হ্যাড্রন কলাইডারকে আপগ্রেড করতে সেটি দুই বছরের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রযুক্তিগত উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০২১ সাল পর্যন্ত এই মহা গবেষণাগারটি বন্ধ থাকবে। এর আগে প্রথমবারের মতো ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত দুই বছর সংস্কারের জন্য গবেষণাগারটি বন্ধ ছিল। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ১০ বছর সময় নিয়ে বিশ্বের একশ’রও বেশি দেশের কয়েকশ ইউনিভার্সিটি ও ল্যাবরেটরির ১০ হাজারের বেশি বিজ্ঞানীর সমন্বয়ে গড়ে তোলা হয় লার্জ হ্যাড্রন কলাইডার নামের মহা গবেষণাগারটি। মহাবিস্ফোরণের মাধ্যমে এই মহাবিশ্ব সৃষ্টির সময় কী পরিস্থিতি ছিল, তা জানা, হিগস বোসন কণা পরিমাপ করা সহ পদার্থ বিজ্ঞানের নানা তত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করা ও পদার্থ বিজ্ঞানের অমীমাংসিত অনেক প্রশ্নের উত্তর খোঁজাই এই গবেষণাগারের কাজ। ইউরোপিয়ান অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ (সার্ন) এর তত্ত্বাবধানে ফ্রান্স- সুইজারল্যান্ড সীমান্তের কাছে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গড়ে তোলা হয় এটি। এটি মূলত মাটির ৫৭৪ ফুট নিচে গড়ে তোলা ২৭ কিলোমিটার ব্যাসের মানুষের তৈরি বিশাল এক মেশিন। বিশালত্বের দিক দিয়ে এই মেশিনটি মানুষের তৈরি আর সব মেশিনকে ছাড়িয়ে গেছে। ইউরোপিয়ান অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুই বছর বন্ধ থাকার সময় লার্জ হ্যাড্রন কলাইডারের পার্টিকেল বিমগুলোকে আরো শক্তিশালী করা হবে। এছাড়া ডিটেক্টরগুলোকে আপগ্রেড করা ও বস্তুর ক্ষুদ্র কণাকে সংরক্ষণ করা সহ বেশ কিছু ইক্যুইপমন্টেও আপগ্রেড করা হবে। তথ্যসূত্র : লাইভ সায়েন্স রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ ডিসেম্বর ২০১৮/ফিরোজ