বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দোকানের রশিদে ক্ষতিকর রাসায়নিক!

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বর্তমানে অনেক দোকানেই প্রিন্টেড রশিদ দেওয়া হয়। কিন্তু প্রায় সব ধরনের প্রিন্টেড রশিদে ক্ষতিকর রাসায়নিক পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মিশিগান ইকোলজি সেন্টারের নতুন একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রিন্টেড রশিদে এমন সব ক্ষতিকর রাসায়নিক রয়েছে, যা মানুষের হরমোন পরিবর্তন এবং গর্ভের ক্ষতি করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন দোকানের প্রিন্টেড রশিদ নিয়ে গবেষণায় এ ধরনের মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি পাওয়া গেছে। গবেষকদের মতে, দোকানের যেসব কর্মীরা নিয়মিত রশিদ অথবা থার্মাল পেপার নিয়ে কাজ করেন, তারা উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন। রশিদের মুদ্রিত অংশ স্পর্শের মাধ্যমে বিদ্যমান ক্ষতিকর রাসায়নিক ত্বকে প্রবেশ করতে পারে। বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা থেকে সংগ্রহ করা প্রায় ২০৪টি রশিদের ওপর পরিচালিত এই গবেষণায়, রশিদের কাগজে ক্ষতিকর রাসায়নিক হিসেবে বিপিএ অথবা বিপিএস পাওয়া গেছে। সাধারণ মানুষদের তুলনায় দোকানের ক্যাশিয়ারদের কাজের শিফট শেষে মূত্র এবং রক্ত পরীক্ষায় বিপিএ এবং বিপিএস উচ্চ মাত্রায় দেখা গেছে। গবেষণায় সংগৃহীত রশিদে ৭৫ শতাংশ বিপিএস এবং ১৮ শতাংশ বিপিএ লক্ষ্য করা গেছে। এই গবেষণায় প্রধান গবেষক বলেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ ধরনের রাসায়নিকমুক্ত নতুন ধরনের প্রিন্টিং কাগজ ব্যবহার করা উচিত। গবেষকরা প্রিন্টেড রশিদের পরিবর্তে ই-মেইল রশিদ ব্যবহার বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া প্রিন্টেড রশিদ ব্যবহারের ক্ষেত্রে হাতে গ্লাভস পরা, রশিদ ধরার পর হাত ধুয়ে ফেলা অথবা সরাসরি রশিদের মুদ্রিত অংশ না ধরে তা ভাঁজ করে ধরার পরামর্শ দিয়েছেন। তথ্যসূত্র : স্কাই নিউজ রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ জানুয়ারি ২০১৯/ফিরোজ