বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিপিও সামিটে যত আয়োজন

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : আগামীকাল রোববার থেকে শুরু হচ্ছে ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০১৯’। রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে দুই দিনের বিপিও সামিট উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আরো উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ. বি. এম. আরশাদ হোসেন, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্য) সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ, বাক্যের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেনসহ সরকারি ও বেসরকরি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং বা বিপিও খাতের অবস্থানকে তুলে ধরার লক্ষ্যে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত হবে ‘বিপিও সম্মেলন বাংলাদেশ ২০১৯’। ২২ এপ্রিল সোমবার দুই দিনের জমজমাট এ আয়োজন শেষ হবে। চতুর্থ বিপিও সামিটের যত আয়োজন

দুই দিনের বিপিও সামিটে মোট ১৩টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। ২১ এপ্রিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর দুপুর ২টার সময় বলরুমে অনুষ্ঠিত হবে ‘বিপিও অ্যাজ এ ক্যারিয়ার ফর ইয়ুথ অ্যান্ড লিভারেজিং বিপিও ফর এমপ্লয়মেন্ট’ শিরোনামে সেমিনার। একই সময় সুরমা হলে অনুষ্ঠিত হবে ‘গভর্নমেন্ট প্রসেস আউটসোর্সিং স্টেপস ফরওয়ার্ড’ সেমিনার। দুপুর ২টার সময় মেঘনা হলে অনুষ্ঠিত হবে বিপিও সামিটের ‘অন স্পট জব ইন্টারভিউ ফর নিউ ইন্টার্নস’ শিরোনামে নতুন চাকরির প্রার্থীদের জন্য একটি আয়োজন। একই সময় বেলকনি হলে ‘অ্যাকসেস টু ফিন্যান্স ফর বিপিও ইন্ডাস্ট্রি’ শিরোনামে গোলটেবিল বৈঠক। চিত্রা হলে দুপুর ২টার সময় শুরু হবে ‘বি২বি নেটওয়ার্কিং সেশন’ এর মধ্য দিয়ে প্রথম দিনের প্রথম পর্বের সেমিনার শেষ হবে। প্রথম দিনে বিকাল ৪টা ৩০ থেকে ৬টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বলরুমে অনুষ্ঠিত হবে ‘ডায়লগ উইথ দ্য স্টুডেন্টস অন লোকাল অ্যান্ড গ্লোবাল ক্যারিয়ার ইন দ্য এরা অব ৪আইআর’ সেমিনার। একই সময়ে সুরমা হলে ‘অ্যাচিভিং সিঙ্গেল ডিজিট ইন্টারেস্ট রেট থ্রো আউটসোর্সিং’ শিরোনামে গোলটেবিল আলোচনা এবং বেলকনি হলে ‘ব্রিজিং ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড বিপিও ইন্ডাস্ট্রি জব স্কিল রিকোয়ারমেন্ট’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় দিন ২২ এপ্রিল সোমবার সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত বলরুমে অনুষ্ঠিত হবে ‘ফ্রিল্যান্সার টু এন্টারপ্রেনার’ শিরোনামে দিনের প্রথম আয়োজন। একই সময় সুরমা হলে অনুষ্ঠিত হবে ‘ব্যাংকিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস বিপিও: ইমাজিং রিস্ক ম্যানেজম্যান্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি ট্রেন্ডস’ শিরোনামে সেমিনার। এছাড়াও বেলকনি হলে ‘হেলথ কেয়ার আউটসোর্সেং’ শিরোনামে সেমিনার। দুপুর ২টার সময় শুরু হবে দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় পর্বের আয়োজন। সুরমা হলে অনুষ্ঠেয় ‘রুরাল বিপিও: দ্য নিউ হরাইজন অব এমপ্লয়মেন্ট ফর ইয়ং ভিলেজার্স অব বাংলাদেশ’ সেমিনারটি চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ২টার সময় মেঘনা হলে শুরু হওয়া ‘অপরচুনিটিজ অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস অব উইমেন ওয়ার্কিং ইন বিপিও’ শিরোনামের সেমিনারটি চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। চতুর্থ বিপিও সামিট ২০১৯ এর সর্বশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে বেলকনি হলে। দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ‘আউটসোর্সেং টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিসেস’ সেমিনার। এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে বলরুমে শুরু হবে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত বিপিও সামিটের সমাপনী অনুষ্ঠান। বিপিও সামিট ২০১৯ সম্পর্কে আয়োজকরা জানান, দুই দিনের আয়োজনে দেশি-বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, সরকারের নীতিনির্ধারক, গবেষক, শিক্ষার্থী এবং বিপিও খাতের সঙ্গে জড়িতরা অংশ নেবেন। প্রযুক্তি ব্যবসা বিশেষ করে আউটসোর্সিং ব্যবসা পরিচালনা, ব্যবসার উন্নয়ন ও বিনিয়োগের আদর্শ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব-দরবারে ইতিমধ্যে পরিচিতি পেয়েছে। এবারের আয়োজনে দেশের আউটসোর্সেং খাতকে আরো কিভাবে ভালো করা যায় সে বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এবং সরকারের রূপকল্প-২০২১ বান্তবায়নে বিপিও খাতের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরা হবে। বিপিও খাতে দক্ষ ও পর্যাপ্ত জনবল তৈরিও এই সামিটের অন্যতম লক্ষ্য। এছাড়া আয়োজনে আউটসোর্সিং সেবা, পরবর্তী প্রজন্মের ধারণাগুলো প্রদর্শন করা হবে। গত তিন বারের সফল আয়োজনের এবার আরো বড় পরিসরে বিপিও সামিট আয়োজন করা হবে। বিপিও খাতে ২০২১ সালের মধ্যে ১ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি লক্ষ্যে এ আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করেন আয়োজকরা। সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য) এর আয়োজনে এই সামিট অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজনে অংশীদার হিসেবে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলজি, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) ও বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ) ইত্যাদি।  

 

রাইজিংবিডি/ঢাক/২০ এপ্রিল ২০১৯/ফিরোজ