বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাইবার আক্রমণ ঠেকাতে প্রয়োজন অত্যাধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওরাকলের সম্প্রতি পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে, ক্রমবর্ধমান সাইবার আক্রমণ ঠেকাতে সাইবার নিরাপত্তা খাতে এবং নতুন প্রযুক্তিতে আরো বেশি বিনিয়োগ করতে হবে। জরিপে অংশগ্রহণকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ও নীতিনির্ধারকরা এমনটাই মনে করছেন। ‘তথ্য সুরক্ষা প্রদান করতে কোন কাজটি আমেরিকা সরকারকে বেশি শক্তিশালী করবে’- এমন প্রশ্নের উত্তরে ৫১ শতাংশ শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও ৬২ শতাংশ নীতিনির্ধারক মত দিয়েছেন, আইটি বা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নির্মাণ খাতে বিনিয়োগের ব্যাপারে। ৫৯ শতাংশ কর্মকর্তা ও ৬০ শতাংশ নীতিনির্ধারক বলেন সাইবার নিরাপত্তা সফটওয়্যারে বিনিয়োগের কথা। বিগত ২৪ মাসে তাদের নিজেদের সুরক্ষার প্রশ্নে ৪৪ শতাংশ কর্মকর্তা ও ৩৩ শতাংশ নীতিনির্ধারক জানিয়েছেন, সাইবার নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য নতুন প্রযুক্তির সফটওয়্যার ক্রয় করেছেন। এবং যথাক্রমে তাদের ৩৭ শতাংশ ও ২৫ শতাংশ নতুন সফটওয়্যার ক্রয়ে বিনিয়োগের কথা ভাবছেন বলে জানিয়েছেন। ওরাকল প্রকাশিত ‘সিকিউরিটি ইন দ্য এজ অব এআই’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ওরাকলের চিপ কর্পোরেট আর্কিটেক্ট এডওয়ার্ড স্ক্রেভেন বলেন, ‘আমরা আমাদের সাইবার নিরাপত্তা যাত্রার সন্ধিক্ষণে আছি যেহেতু অনেক পাবলিক এবং প্রাইভেট সেক্টর পরবর্তী প্রজন্মের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারছে।’ গত পাঁচ বছরে বড় বড় কোম্পানি ও শিল্পখাত তাদের সফটওয়্যার উন্নয়নসহ কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন শুধুমাত্র সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে। তবুও মাত্র ৩৩ শতাংশ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ও ২০ শতাংশ নীতিনির্ধারক আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে যা আশঙ্কাজনক। স্ক্রেভেনের মতে, ‘আমেরিকার ভবিষ্যৎ তথ্য সুরক্ষা ও ক্রমবর্ধমান সাইবার হুমকির মধ্যে দূরত্ব তৈরি করে দিতে পারে শুধুমাত্র নতুন প্রজন্মের ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাইবার সুরক্ষা ব্যবস্থা। তাই প্রতিটি ব্যক্তিগত বা সরকারি প্রতিষ্ঠান যত বেশি আধুনিক সাইবার সুরক্ষায় বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে পারবে, পুরো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঠিক তত বেশি সাইবার হুমকি মোকাবেলার শক্তি অর্জন করবে।’ ‘গত পাঁচ বছরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলো কি করেছে’ এমন প্রশ্নের উত্তরে শীর্ষ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং নীতি-নির্ধারকদের যথাক্রমে ৬০ শতাংশ এবং ৫২ শতাংশ বলেন, তারা বিদ্যমান সফটওয়্যার উন্নত করেছেন। ৫৭ শতাংশ কর্মকর্তা এবং ৫০ শতাংশ নীতি নির্ধারক জানিয়েছেন, তারা কর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন। এদের মধ্যে শুধুমাত্র ৫৪ শতাংশ কমকর্তা এবং ৪১ শতাংশ নীতি-নির্ধারক সমৃদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ নতুন সফটওয়্যার কিনেছেন। এবং ৪০ শতাংশ কর্মকর্তা ও ২৭ শতাংশ নীতি নির্ধারক নতুন নতুন ইনফ্রাস্ট্রাকচার সল্যুশনে বিনিয়োগ করেছেন। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ মে ২০১৯/ফিরোজ