বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৯ মাসে গ্রামীণফোনের আয় ১০,৭৫০ কোটি টাকা

২০১৯ সালের প্রথম ৯ মাসে গ্রামীণফোন মোট ১০,৭৫০ কোটি টাকা আয় করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯.৫% বেশি। অপারেটরটির গ্রাহক সংখ্যা ৬% বেড়ে বছরের প্রথম ৯ মাসে দাড়িয়েছে ৭ কোটি ৫৭ লাখ।

এ বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটি ৪ লাখ নতুন গ্রাহক নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করেছে এবং ইন্টারনেট গ্রাহক বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ লাখ। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ৫৩.৭% গ্রাহক ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করছে।

আজ সোমবার জিপি হাউজে গ্রামীণফোণের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির সিইও মাইকেল প্যাট্রিক ফোলি এবং সিএফও ইয়েন্স বেকার।

অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোণের সিইও মাইকেল প্যাট্রিক ফোলি বলেন, ‘প্রতিকূল নিয়ন্ত্রকমূলক পরিবেশ থাকা সত্বেও আমরা তৃতীয় প্রান্তিকে শক্তিশালী ব্যবসায়িক ফলাফল অর্জন করেছি। নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন বা এনওসি প্রদান বন্ধের কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও গ্রামীণফোন দেশের ৯৯.৫% গ্রাহককে তার নেটওয়ার্কে আওতায় মোবাইল সেবা প্রদান করছে। ৬৯% জনগোষ্ঠী আমাদের ৪জি নেটওয়ার্কের আওতায় রয়েছে। ভয়েস সেবা থেকে আমাদের প্রাপ্ত আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এর পাশাপাশি ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার সহ ইন্টারনেট ভিত্তিক আয় বৃদ্ধিও পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমাদের গ্রাহক সংখ্যার ৫৩.৭% বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থরক্ষা, গ্রাহকদের সর্বোচ্চ মানের সেবা প্রদান এবং দেশজুড়ে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করাই আমাদের মূল লক্ষ্য এবং এটি ধরে রাখতে আমরা বদ্ধ পরিকর।’

১৯.৯% মার্জিন সহ তৃতীয় প্রান্তিকে কর পরবর্তী নীট মুনাফা ছিল ৭৩০ কোটি টাকা। এই সময়কালের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ৫.৩৮ টাকা।

‘২০১৯ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন উল্লেখযোগ্য মার্জিন সহ উল্লেখযোগ্য ব্যবসায়িক ফলাফল অর্জন করেছে’, বলেন গ্রামীণফোনের সিএফও ইয়েন্স বেকার। তিনি আরো উল্লেখ করেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের জন্য যথাযথ মোবাইল সেবা নিশ্চিত করতে আমরা মানসম্মত গ্রাহক বৃদ্ধির পাশাপাশি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক এবং পরিচালন ব্যবস্থা তৈরি করতে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবো।’

তৃতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন নেটওয়ার্ক কভারেজ এর জন্য ২১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এনওসি প্রদান বন্ধের কারণে পরিকল্পনার তুলনায় এই বিনিয়োগের পরিমাণ কমেছে। নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নের জন্য প্রতিষ্ঠানটি ১৮১২টি নতুন ৪জি সাইট চালু করেছে, যার ফলে মোট সাইটের সংখ্যা এখন ১৬,৩৮৯টি। কর, ভ্যাট, ফিস, ৪জি লাইসেন্স এবং তরঙ্গ বরাদ্দের ফিস বাবদ গ্রামীণফোন বছরের প্রথম ৯ মাসে সর্বমোট ৬১৪০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে যা প্রতিষ্ঠানটির মোট আয়ের ৫৭%। ঢাকা/ফিরোজ