বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সীফুডের সাথে আমরা যেভাবে প্লাস্টিক খাচ্ছি

আমাদের আশেপাশে এখন শুধু প্লাস্টিক আর প্লাস্টিক। ওষুধের বোতল কিংবা কোমল পানীয়ের বোতল সব জায়গায় আমরা ব্যবহার করছি প্লাস্টিক। এমনকি সাময়িক ব্যবহারের (ওয়ান টাইম ইউজ) যে থালা বা কাপ ব্যবহার করা হয় সেটাও প্লাস্টিকের। খাবার বা বাজার আজকাল সব কিছু প্যাকেজিং বা মোড়কীকরণেও ব্যবহার হচ্ছে প্লাস্টিক।

আর প্লাস্টিকের এইসব জিনিসপত্রে কিন্তু লুকিয়ে থাকে অতিসূক্ষ্ম প্লাস্টিকের কণা, যা খাদ্যের সাথে মিশে আমাদের দেহে প্রবেশ করে সৃষ্টি করছে নানা রোগ। এখন কথা হচ্ছে, যদি কোনো সচেতন নাগরিক প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়েও দেয়, তবুও প্লাস্টিকের হাত থেকে রেহাই নেই। কেননা প্লাস্টিকের অতি ব্যবহারে এসব প্লাস্টিকের আবর্জনা আমরা ফেলছি নদী বা সমুদ্রে। আর সেসব প্লাস্টিক কোনো কোনো মাছ খাবারের সাথে গিলে ফেলে। এমনই এক তিমি কিন্তু কিছুদিন আগে সমুদ্রে ধরা পরেছিল, যার পেটে ছিল কয়েক কেজি প্লাস্টিকের বর্জ্য।

সম্প্রতি অনলাইন টেক ম্যাগাজিন দ্য ভার্জের একদল সাংবাদিক কিছু সামুদ্রিক খাবারের ওপর বিজ্ঞানীদের দিয়ে গবেষণা চালিয়ে দেখেছে, এসব খাবারে অতি সূক্ষ্ম প্লাস্টিকের কণা বিদ্যমান, যা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর। সামুদ্রিক খাবার যেমন সামুদ্রিক চিংড়ি, ঝিনুক ইত্যাদি। এসব খাবারে প্লাস্টিকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

বিজ্ঞানীরা কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ল্যামন্ট-ডোহার্টি আর্থ অবজারভেটরিতে কিছু চিংড়ির নাড়িভুঁড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন, যার উপর গবেষণা চালানো হয়। এই গবেষণার একটি ভিডিও দ্য ভার্জ তাদের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করে। সেখানে চিংড়ি মাছে প্লাস্টিকের অতি সূক্ষ্ম কণার উপস্থিতি দেখা গেছে। একই ভাবে ঝিনুক, যা এখন বাংলাদেশেও জনপ্রিয় হচ্ছে ধীরে ধীরে, সেখানেও এর উপস্থিতি দেখা গেছে। এক কথায় প্লাস্টিক থেকে বাঁচতে হলে আদতে সবার প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে। তাহলেই কমে যাবে প্লাস্টিকের বর্জ্য। আর প্লাস্টিকের বর্জ্য কমে গেলে আমাদের খাবার হিসেবে যেসব মাছ আছে তারাও নিরাপদ থাকবে, আমরাও নিরাপদ থাকবো।

আরো পড়ুন : ঢাকা/ফিরোজ