বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জমকালো আয়োজনে প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ইভ্যালির

জমকালো আয়োজনের মধ্যে দিয়ে প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করল ইভ্যালি ()। ‘বিজয় আমাদের, আমাদের এগিয়ে যাওয়া!’ এই স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে মহান বিজয় দিবসের অনুপ্রেরণায় নিজেদের উদযাপনকে সাজিয়ে তোলে ই-কমার্সভিত্তিক মার্কেটপ্লেস ইভ্যালি।

১৬ ডিসেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) প্রায় পাঁচ হাজার আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে এই উদযাপন অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ইভ্যালির প্রায় তিন হাজার গ্রাহক, সহস্রাধিক সেলার, দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের বিশিষ্টজন এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে আনুষ্ঠানিক পর্বে অতিথিদের উদ্দেশ্যে ইভ্যালির গত এক বছরের কার্যক্রমের কিছু অংশ উপস্থাপনার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়।

এরপর বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল। তিনি বলেন, ইভ্যালির পথচলা মাত্র এক বছরের। ই-কমার্সের যেকোনো প্রেক্ষাপটেই এক বছর খুবই অল্প সময়। তবে এই অল্প সময়েও আমরা দারুন কিছু সফলতা অর্জন করেছি। আমাদের প্ল্যাটফর্মে নিবন্ধিত গ্রাহকের সংখ্যা ১২ লাখের ওপরে, সেলার বা মার্চেন্ট ২০ হাজারেরও বেশি। গুগল প্লে-স্টোর থেকে ইভ্যালি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ পাঁচ লাখের বেশিবার ডাউনলোড হয়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয় ই-কমার্সে কেনাকাটা করা যে ব্যয়বহুল না বরং সাধ্যের মধ্যে তেমন একটি বিশ্বাস আমরা গ্রাহকদের মাঝে দিতে পেরেছি।

ইভ্যালির সিইও আরো বলেন, আমাদের ইভ্যালিতে এখন দুই শতাধিক কর্মী প্রত্যক্ষভাবে কাজ করছে। এদের অর্ধেক অংশই নারী কর্মী। এছাড়াও আমাদের সাথে যেসব সেলার আছেন তারাও তাদের দিক থেকে কর্মী নিয়োগ করছেন। বিশেষ করে ঢাকার বাইরের শহরগুলোতে আমাদের প্রচুর সেলার আছে। সবমিলিয়ে আমরা একটি ইকো-সিস্টেম গড়ে তোলার চেষ্টা করছি, যা এই দেশে ই-কমার্সে একটি টেকসই ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

ইভ্যালির সফলতার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে রাসেল বলেন, আমরা যখন আমাদের সফলতার কথা বলি তখন আসলে আমরা আপনাদের সকলের সফলতার কথা বলি। ইভ্যালি দেশিয় উদ্যোগ, দেশের একটি প্রতিষ্ঠান, আপনাদের সকলের। আমাদের ফেসবুক গ্রুপে প্রায় দেড় লাখ সদস্য আছেন যা দেশে পরিচালিত যেকোনো ই-কমার্সের মধ্যে সর্বাধিক। গ্রাহক, সেলার এবং গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীদের নিরন্তর সমর্থন ছাড়া এটি সম্ভব হতো না। আমরা সবাইকে নিয়ে আরো সামনের দিকে অগ্রসর হতে চাই।

পরবর্তীতে নৈশভোজ এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আয়োজনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। হিরো, টিভিএস বাংলাদেশ, ওয়ালটন এবং এসকয়ার ইলেক্ট্রনিক্স অনুষ্ঠানে পৃষ্ঠপোষকতা করে। ঢাকা/ফিরোজ