আজ বিশ্ব পাই (π) দিবস। গাণিতিক ধ্রুবক পাই (π) এর সম্মানে প্রতিবছর ১৪ মার্চ এ দিবসটি পালিত হয়।
পাই-এর মান প্রায় ৩.১৪ বলে বিশ্বের গণিতবিদরা প্রতিবছর ১৪ মার্চকে পাই দিবস হিসেবে পালন করে থাকেন।
১৯৮৮ সালে পদার্থবিদ ল্যারি শ’ পাই দিবস এর ধারণার প্রবর্তন করেন। সানফ্রানসিসকোর বিজ্ঞান জাদুঘরের কর্মকর্তা ল্যারি শ’ এই দিবস উদযাপনের উদ্যোক্তা বলে তাকে ‘পাই-এর রাজপুত্র’ বলা হয়। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে ১২ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১৪ মার্চকে জাতীয় পাই দিবস হিসেবে পালনের অনুমোদন দেয়।
তবে বাংলাদেশে পাই দিবস উদযাপিত হচ্ছে ২০০৬ সাল থেকে। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির উদ্যোগে দেশে এই দিবস উদযাপন শুরু হয়। দেশের বেশকিছু গণিত ক্লাব ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নানা আয়োজনের মধ্যে দিবসটি পালিত হয়। আয়োজনের মধ্যে রয়েছে পাই শোভাযাত্রা, পাই-এর মান বলা, পাই নিয়ে আলোচনা ইত্যাদি। এছাড়া রয়েছে পাই চিহ্ন সম্বলিত কেক কেটে শুভেচ্ছা বিনিময়।
উল্লেখ্য, পাই (π) একটি গুরুত্বপূর্ণ গাণিতিক ধ্রুবক। ইউক্লিডিয় সমতলীয় জ্যামিতিতে, বৃত্তের পরিধি ও ব্যাসের অনুপাতকে পাই (π) হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। উইলিয়াম জোনস সর্বপ্রথম ১৭০৬ সালে পাই (π) প্রতীকটির প্রচলন করেন। তবে এই প্রতীকটিকে জনপ্রিয় করেন সুইস গণিতবিদ লিওনার্দো ইউলার।
π গ্রিক বর্ণমালার ষোলতম বর্ণ। গ্রিক শব্দ ‘περιφέρεια’ (যার অর্থ periphery) এবং ‘περίμετρος’(যার অর্থ perimeter) এর প্রথম বর্ণ হচ্ছে π। ধরা হয়ে থাকে পরিধি বা perimeter শব্দটি থেকেই π এর ব্যবহার হয়ে আসছে।
গণিত, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিদ্যার অনেক সূত্রে পাইয়ের ব্যবহার দেখা যায়। বর্তমানে কম্পিউটারের সাহায্যে π এর মান দশমিকের পর ১ ট্রিলিয়ন পর্যন্ত বের করা সম্ভব হয়েছে।
পাই দিবসে আপেক্ষিকতার তত্ত্ব প্রদানের জন্য সুখ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইনেরও জন্মদিন। এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন আরেক বিশ্বখ্যাত পদার্থবিদ স্টিভেন হকিং।
তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া, রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড, ফক্স নিউজ
ঢাকা/জেনিস