করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজ্ঞানীরা নজর দিয়েছেন শতাব্দী পুরোনো একটি টিকা বা ভ্যাকসিনের দিকে। আর সেটি হলো যক্ষ্মার ভ্যাকসিন।
চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা এই ভ্যাকসিন শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করে কিনা তা দেখার জন্য ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করতে যাচ্ছেন।
টিবি রোগের জন্য দায়ী ‘মাইকোব্যাক্টেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস’ জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এই ভ্যাকসিনটি বিসিজি নামে পরিচিত।
ভ্যাকসিনটি যদিও টিবি জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছে, কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে বিসিজি অন্যান্য রোগজীবাণুগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীরের প্রতিরোধ সিস্টেমটির ক্ষমতাও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
করোনাভাইরাস মহামারিতে ভ্যাকসিনটি কোনো উপকারে আসতে পারে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে বিজ্ঞানীদের বেশ কয়েকটি দল কাজ করছেন।
নেদারল্যান্ডের ইউএমসি উট্রেচট-এর বিজ্ঞানীদের একটি দল এ সপ্তাহে প্রথমবারের মতো ৮টি হাসপাতালে প্রায় ১ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীর ওপর ভ্যাকসিনটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করতে যাচ্ছেন। বিজ্ঞানী দলটির অন্যতম সদস্য মার্ক বোন্টেন সায়েন্স ম্যাগাজিনকে বলেন, ‘এতে অংশ নিতে অনেকের উৎসাহ রয়েছে।’
এদিকে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীদের একটি দলও বিসিজি নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে গবেষণা শুরু করতে যাচ্ছেন। এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন হাসপাতালের ৪,০০০ স্বাস্থ্যকর্মী জড়িত থাকবেন।
মারডোক চিল্ড্রেন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ক্যাথরিন নর্থ এসি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসা গবেষকদের কঠিন ও উদ্ভাবনী পরীক্ষা পরিচালনার জন্য খ্যাতি রয়েছে। এই ট্রায়ালটি কোভিড-১৯ লক্ষণের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা যথাযথভাবে নির্ণয় করার সুযোগ তৈরি করবে।’
ঢাকা/ফিরোজ