বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আন্তর্জাতিক আলোক দিবস উপলক্ষে নানা আয়োজন

‘ঘরে থেকে উদযাপন করো আন্তর্জাতিক আলোক দিবস ২০২০’ ইউনেস্কোর এই আহ্বানে বিশ্বের প্রার অর্ধশত দেশ অনলাইনে আগামী ১৬ মে তারিখে উদযাপন করবে আন্তর্জাতিক আলোক দিবস ২০২০।

প্রতিবছরের মতো এ বছরও বাংলাদেশে এই আয়োজনটি যাথাযথভাবে উদযাপন করার জন্য বেশ কিছু কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। এ বছরের আয়োজনের নাম দেয়া হয়েছে ‘নাচে আলো নাচে, হৃদয়বীণার মাঝে’। এই আয়োজনের প্রতিটি ইভেন্টই আয়োজিত হবে অনলাইনে। যাতে ঘরে বসেই, দেশের যে কেউ, যেকোনো স্থান থেকে এই দিবসটি উদযাপনের সাথে যুক্ত হতে পারে। বাংলাদেশে এই দিবসটি উদযাপন জাতীয়ভাবে সমন্বয় করছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি (এসপিএসবি)।

কোভিট-১৯ এর কারণে দেশজুড়ে সাধারণ ছুটি থাকায় বিগত বছরগুলোর ন্যয় এ বছর কোনো স্কুল-কলেজ বা মিলনায়তনে বড় প্রোগ্রাম আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই এ বছর ঘরে বসেই যেন আন্তর্জাতিক আলোক দিবস ২০২০ উদযাপন করা যায়, সেজন্য ‘বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি’ নামে তাদের ফেসবুক পেজে বিভিন্ন ইভেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে এই দিবসটি উদযাপন করার পরিকল্পনা করেছে।

অনলাইনে আন্তর্জাতিক আলোক দিবস ২০২০ উদযাপন উপলক্ষে যেসমস্ত ইভেন্ট আয়োজন করা হচ্ছে সেগুলো হচ্ছে-

আলো ও আলোক প্রযুক্তি কুইজ: স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো শিক্ষার্থী এই কুইজে অংশ নিতে পারবে। কুইজে অংশ নেওয়ার জন্য নির্ধারিত লিংকে https://bit.ly/IDLQuiz গিয়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান করতে হবে। ১১ মে ২০২০ থেকে ১৬ মে ২০২০ রাত ১১:৫৯ পর্যন্ত সর্বোচ্চ সঠিক উত্তরদাতাদের মধ্য হতে বিজয়ী নির্বাচন করা হবে। বিজয়ীদের জন্য থাকবে সার্টিফিকেট ও পুরস্কার।

আলোর গল্প: আন্তর্জাতিক আলোক দিবস ২০২০ উদযাপন উপলক্ষে অনলাইনে আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার আয়োজন ‘আলোর গল্প’। এই প্রতিযোগিতায় আলো বা আলোর ভূমিকা বোঝা যায় এমন যেকোনো ছবি জমা দিয়ে যে কেউ এতে অংশ নিতে পারবে। ১২ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত https://bit.ly/IDLPhotography এই লিংকে ছবি জমা দিতে হবে। একবারে সর্বোচ্চ একটি ছবি জমা দেওয়া যাবে। জমা দেয়া ছবিগুলো এসপিএসবির ফেসবুক পেইজ (facebook.com/SPSBZone) আপলোড করা হবে। এই সময়ের মধ্যে যে ছবিতে সবচেয়ে বেশি লাইক/রিয়্যাকশন পড়বে, সেই ছবি পপুলার চয়েজ ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হবে। বিজয়ী ছবির জন্য থাকবে সার্টিফিকেট ও পুরস্কার।

আলো নিয়ে সায়েন্স এক্সপেরিমেন্ট ভিডিও: সায়েন্স এক্সপেরিমেন্টের ভিডিও-র এই প্রতিযোগিতাও সবার জন্য উন্মুক্ত। এই প্রতিযোগিতায় বাসায় বসে আলো নিয়ে কোনো একটি এক্সপেরিমেন্ট করতে হবে। এক্সপেরিমেন্টটি ভিডিও জমা দিতে হবে এই লিংকে https://bit.ly/ExperimentIDL। জমা দেয়া ভিডিওগুলো এসপিএসবির ফেসবুক পেজ (www.facebook.com/SPSBZone) ও ইউটিউবে আপলোড করা হবে। ভিডিওগুলোর ভিউ-এর সংখ্যা, রিঅ্যাকশনের সংখ্যা ইত্যাদি বিবেচনা করে পপুলার চয়েজ ক্যাটাগরির পুরস্কার নির্ধারণ করা হবে।

কোয়ান্টাম কম্পিউটিং নিয়ে ড. ওমর শেহাবের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর: কোয়ান্টাম কম্পিউটিং কী, কীভাবে কাজ করে, ভবিষ্যৎ কী, এমন নানা প্রশ্নের উত্তর দিবেন কোয়ান্টাম কম্পিউটিং-এর গবেষক ড. ওমর শেহাব। তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আইবিএম থমাস জে ওয়াটসন রিসার্চ সেন্টারে তত্ত্বীয় কোয়ান্টাম কম্পিউটার বিজ্ঞানী হিসেবে কর্মরত আছেন। বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির ফেসবুক পেজে আগামী ১৬ মে তারখে দুপুর ১২টায় সরাসরি প্রশ্নোত্তর পর্বটি সম্প্রচার করা হবে।

আলোর কথামালা- দেখা আলোর অদেখা ভুবন: আলো নিয়ে জনপ্রিয় বিজ্ঞান বক্তৃতা হচ্ছে আলোর কথামালা। এ বছর আলোর কথামালার ৩টি পর্ব আয়োজন করা হবে। আলোর কথামালার ১ম পর্বটির নামকরণ করা হয়েছে ‘দেখা আলোর অদেখা ভুবন’। আলোর সম্ভাবনাময়, কিন্তু অদেখা এই ভুবন নিয়েই এই আলোচনা করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মাইনুল হোসেন। আলোর কথামালার ২য় পর্বটির নামকরণ করা হয়েছে ‘নীল আলোর সন্ধানে’। এতে আলোচনা করবেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী। এছাড়াও আলোর কথামালার ৩য় পর্বটিতে আলোচনা করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আরশাদ মোমেন চৌধুরী। সবগুলো বক্তৃতাই বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির ফেসবুক পেজে আগামী ১৬ মে তারিখে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে

আলোকতত্ত্বের উপর একটি বিশেষ ই-অলিম্পিয়াড: আন্তর্জাতিক আলোক দিবস ২০২০-কে সামনে রেখে দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য আগামী ১৬ মে শনিবার, সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আয়োজন করা হচ্ছে আলোকতত্ত্বের উপর একটি বিশেষ ই-অলিম্পিয়াড। ১৫ মে শুক্রবার, রাত ১০:৫৯ মিনিটের মধ্যে অনলাইনে এই লিংকে https://forms.gle/qyycXtaUcJQ3fmo89 নিবন্ধন করতে হবে। ৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণী শিক্ষার্থীরা জুনিয়র ক্যাটাগরি ও ৯ম-১১শ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা সেকেন্ডারি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত হয়ে এই ই-অলিম্পিয়াডে অংশ নিতে পারবে। ই-অলিম্পিয়াডে বিজয়ীদের জন্য থাকবে সার্টিফিকেট ও পুরস্কার। ঢাকা/ফিরোজ