বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সলোমন দ্বীপপুঞ্জে নিষেধাজ্ঞার মুখে ফেসবুক

সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারের সমালোচনা বেড়ে যাওয়ায় সলোমন দ্বীপপুঞ্জ সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশটিতে ফেসবুক বন্ধ রাখার পরিকল্পনা করেছে।  প্রধানমন্ত্রী মানাশে সোগাভারের নেতৃত্বাধীন সরকার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বৈঠকের পর এ বিষয়ে তারা আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করবে।

নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলে ফেসবুককে নিষিদ্ধ করা চীন, ইরান, উত্তর কোরিয়াসহ হাতেগোনা কয়েকটি দেশের তালিকায় নাম লেখাবে সলোমন দ্বীপপুঞ্জ। ফেসবুকের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য তারা সলোমন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। 

তিনি বলেন, ‘সরকারের এ ধরনের পদক্ষেপ সলোমন দ্বীপপুঞ্জের হাজার হাজার মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করবে যারা প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও যোগাযোগ রক্ষায় আমাদের পরিষেবাগুলো ব্যবহার করে থাকে।’

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে উদ্দীপনা তহবিল বিতরণ এবং তাইওয়ান থেকে চীনে কূটনৈতিক সম্পর্ক সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটির সরকার সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সলোমন টাইমসকে যোগাযোগমন্ত্রী পিটার শানেল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারি মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর ভাষা এবং চরিত্রহননের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া কাজে লাগানো হচ্ছে। 

প্রায় সাড়ে ৬ লাখ জনসংখ্যার এই দেশটিতে ফেসবুক ব্যাপক জনপ্রিয়। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ সম্প্রচার এবং মহামারিকালীন স্বাস্থ্যতথ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকার প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করে।

বিরোধীদলের নেতা ম্যাথু ওয়াল জানিয়েছেন, তিনি সরকারের এ পদক্ষেপের বিরোধিতা করবেন। রয়টার্সকে তিনি বলেছেন, ‘রাজনীতিবিদরা সবসময় মানুষজনের কাছে তথ্য পৌঁছে যাওয়ার এবং নির্দ্বিধায় তাদের মতামত প্রকাশের সক্ষমতার বিষয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন- এটি নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব দেওয়ার পক্ষে ভিত্তি হতে পারে না। আমি এ জাতীয় নিষেধাজ্ঞার পক্ষে ন্যায়সঙ্গত কোনো যুক্তি একেবারেই দেখতে পাচ্ছি না।’