বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যে ব্যাটারিতে চলতে পারবে ২০ হাজার বাড়ি! 

আইপিএসের সঙ্গে আমরা কম-বেশি অনেকেই পরিচিত। জরুরি মুহূর্তে বিদ্যুৎ যোগাতে আইপিএসের জুড়ি নেই। কেননা জেনারেটরের মাধ্যমে বিকল্প বিদ্যুৎ পেতে কিছুটা বিলম্ব হয়। সুতরাং বর্তমানে শহরের নাগরিকদের নতুন করে আইপিএস চেনাতে হয়না। আইপিএসও ব্যাটারি দ্বারাই চালিত। একটি বাড়ি বা কয়েকটি রুমকে মোটামুটি জরুরি সেবা দিতে সক্ষম আইপিএস।

যদি বলা হয় এমন ব্যাটারি আছে যেটা ২০ হাজার বাড়ির জরুরি সেবা কিংবা একটি অঞ্চলের বিদ্যুৎ সেবা দিতে সক্ষম তাহলে কি বিশ্বাস হবে? হ্যাঁ, ইলন মাস্কের কাজ কারবার সব সময়ই অবিশ্বাস্য। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। টেক্সাসের জন্য বিশাল ব্যাটারি তৈরি করতে যাচ্ছেন ইলন মাস্ক। যেটা বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে বিকল্প বিদ্যুৎ হিসেবে কাজ করবে।

যদিও এই অভিজ্ঞতা ইলন মাস্কের টেসলার জন্য নতুন নয়। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার জন্য এমন বিশাল ব্যাটারি তৈরি করেছিলেন ইলন মাস্ক, তাও গ্যারান্টি দিয়ে মাত্র ১০০ দিনে! দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছিল সেই ব্যাটারি, যা ঝড়-বৃষ্টিতে বিঘ্ন হওয়া জাতীয় গ্রিডের বিকল্প হিসেবে নেয়া হয়েছিল তাও ২০১৭ সালে।

এবার সেই অভিজ্ঞতার আলোকে টেক্সাসের শীতকালীন ঝড়ের বিদ্যুৎ বিকল্প হিসেবে হাতে নেয়া হয়েছে এ প্রকল্প। গত মাসে টেক্সাসে তিনটি শীতকালীন ঝড়ের কারণে লাখ লাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ছিল ১০ দিন। ২৬ মিলিয়ন মানুষের শহর টেক্সাসকে ঝড়ের সময়ও যাতে বিদ্যুৎহীন থাকতে না হয়, সেজন্য তৈরি করা হচ্ছে ১০০ মেগাওয়াটসের এই ব্যাটারি। যদিও এই প্রকল্পটি ঢেকে রাখা হয়েছে, তারপরও সেখানকার শ্রমিকদের মাথায় ইলন মাস্কের টেসলার লোগো দেখা গেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে টেসলার সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্যাম্বিট এনার্জি স্টোরেজ এলএলসি। ব্লুম্বার্গের এক রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।

টেক্সাসের হস্টন থেকে মোটামুটি ৪০ মাইল দূরে এই ব্যাটারি স্থাপন করা হচ্ছে। যা ২০ হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম। এবং এই ব্যাটারি দ্রুত প্রস্তুত করাও সম্ভব।

আমাদের দেশের জরুরি বিদ্যুতের ব্যবস্থার জন্য কুইক রেন্টাল তেল নির্ভর বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণ করা হয়েছে, যা এখন অনেকটা বোঝা মনে করা হচ্ছে। এখন যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইলন মাস্কের এই প্রযুক্তিকে বিকল্প হিসেবে দেখা যেতে পারে।