খেলাধুলা

অস্ট্রেলিয়ান সাংবাদিকের সমালোচনার শিকার বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক : বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার ও বাংলাদেশের মধ্যকার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটি অনেকেই দেখতে পারেননি। কারণ, আমাদের দেশে সহজলভ্য কোনো চ্যানেলে খেলাটি দেখায়নি। যারা অনলাইনে দেখেছেন তারা বিষয়টি বুঝতে পারবেন। অনিন্দ সুন্দর পার্থ স্টেডিয়ামের পিচে বাংলাদেশের দলের খেলোয়াড়দের খুঁজে পেতে প্রথমে একটু কষ্টই হয়েছে। সবুজ ঘাসের সঙ্গে বাংলাদেশের জার্সি মিলে যাচ্ছিল। তাই যারা নিয়মিত বাংলাদেশ দলের খেলা দেখেন তাদের পক্ষেই খেলোয়াড়দের খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয়েছে। তার উপর বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের জার্সির পেছনে নামও লেখা ছিল না। তাহলে মাঠে উপস্থিত ২০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি ও অস্ট্রেলিয়ার দর্শকদের কী অবস্থা হয়েছে, সেটা সহজেই অনুমেয়। বিষয়টি নিয়ে দর্শকরা তেমন কিছু না বললেও অস্ট্রেলিয়ান সাংবাদিকরা বেজায় ক্ষেপেছেন। তাই বাংলাদেশ দল, বাংলাদেশের ফুটবল, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনা ও জার্সির বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেছেন সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের একজন সিনিয়র ফুটবল রিপোর্টার।বৃহস্পতিবার ম্যাচটি ছিল এক তরফা। বাংলাদেশ ৫-০ গোলে হার মানে। ম্যাচে ৮৫ শতাংশ বলের দখল ছিল অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে। তারা কর্নার পেয়েছিল ৬টি। বাংলাদেশ পায়নি একটিও। অস্ট্রেলিয়া গোলে শট নিয়েছিল ৩০টি। বাংলাদেশ নিয়েছিল গুটিকয়েক। তাই একজন স্পোর্টস রিপোর্টার ম্যাচ রিপোর্ট লিখতে বসে অস্ট্রেলিয়ার বর্ণনা লেখার পাশাপাশি বাংলাদেশেরও কিছু বিষয় নিয়ে লিখতে চাইবেন। কিন্তু বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের জার্সির পেছনে নাম লেখা না থাকায় লিখতে গিয়ে হতাশই হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাংবাদিকরা। তার উপর তাদের কাছে নাকি বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের তালিকাও পৌঁছে দেয়নি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন! তাইতো সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের সাংবাদিক বাংলাদেশের সমালোচনা করে লিখেই বসলেন,  ‘বিশ্বের ১৭৩ নম্বর দলের কাছ থেকে আপনারা আর কী-ই বা আশা করেছিলেন? ওদের তো লাল-সবুজ জার্সিতে নাম পর্যন্ত ছিল না। এ ব্যাপারে কোনো অফিসিয়াল ব্যবস্থা কিংবা তথ্য সাহায্যও ছিল না। ফলে দর্শকদেরও বোঝা দুঃসাধ্য ছিল কোন খেলোয়াড়ের কী নাম। এটা কি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটা ম্যাচ ছিল না?’

     

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫/আমিনুল/পরাগ