ক্রীড়া প্রতিবেদক: বয়স ৩০ পেরিয়েছে গত জুনে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ বয়সে ক্রিকেটাররা নিজেদেরকে গুটিয়ে নেওয়ার প্রহর গুণতে থাকেন। কিন্তু ফরহাদ রেজা ঘরোয়া ক্রিকেটে দিব্যি খেলে যাচ্ছেন।
৩০ বছর বয়সি এই অলরাউন্ডার বাংলাদেশের জার্সি গায়ে সবশেষ মাঠে নেমেছিলেন ২০১৪ এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। পুরো দলের মত ফরহাদ রেজাও ছিলেন ফ্লপ। ফলে দল থেকে বাদ পড়লেন ৩৪ ওয়ানডে ও ১৩ টি-টোয়েন্টি খেলা ডানহাতি এ অলরাউন্ডার।
জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্বের সুযোগ না হলেও ফরহাদ রেজা ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত মুখ। রাজশাহীর হয়ে জাতীয় ক্রিকেট লিগ, নর্থ জোনের হয়ে বিসিএল এবং প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে খেলেছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। প্রতিটিতেই ফরহাদ রেজার পারফরম্যান্সের সূচক উর্ধ্বমুখী।
তবে এবারের বিপিএলে ভিন্নমাত্রা নিয়ে এলেন রাজশাহীর এ ক্রিকেটার। নিজ শহরের দল রাজশাহী কিংসের হয়ে বল ও ব্যাট হাতে প্রয়োজনমাফিক পারফরম্যান্স করেছেন ফরহাদ রেজা। যখন বোলিংয়ে প্রয়োজন তখন বল হাতে দ্যূতি ছড়িয়েছেন। যখন ব্যাটিংয়ে প্রয়োজন তখন স্কোরবোর্ডের পুঁজি সমৃদ্ধ করেছেন। দলকে ফাইনাল পর্যন্ত তুলে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে তার অবদান অনেক।
অধিনায়ক ড্যারেন স্যামিও মুগ্ধ ফরহাদের পারফরম্যান্সে। রাজশাহী কিংসের হয়ে এবার ১৪ উইকেট নিয়েছেন ফরহাদ, রান করেছেন ১০৪।
গতকাল ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে স্যামি বলেন, ‘আমাদের দলের জন্য ফরহাদ ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। ও বিশাল-হৃদয়ের ক্রিকেটার। সব সময় শিখতে চায়, প্রেরণা জোগায়। আমার ভাষা, উচ্চারণ বুঝতে পারা খানিকটা কঠিন। ফরহাদ সব সময় তরুণ ক্রিকেটারদের আমার কথা বাংলায় বুঝিয়ে দিতো। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের কথা যদি বলি, টুর্নামেন্টে ফরহাদ ছিল অসাধারণ। বিশেষ করে আমাদের হয়ে ১৭তম ও ১৯তম ওভার বা ১৮ ও ২০তম নিয়মিতই করেছে সে। সব সময় ভালো করার চেষ্টা করেছে। সফল হোক না হোক চ্যালেঞ্জটা নিতে দেখেছি।’
স্যামির বিশ্বাস বাংলাদেশের হয়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ফরহাদ রেজার পক্ষে ভালো করা সম্ভব। তার ভাষ্য, ‘ফরহাদের গতি নেই কিন্তু সে কার্যকর। বিপিএলে সে নিজেকে প্রমাণ করেছে। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের হয়ে সীমিত পরিসরে সে খেলার যোগ্য। আমি মনে করি ফরহাদের উপর নির্বাচকদের সুদৃষ্টি দেওয়া উচিত।’
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ ডিসেম্বর ২০১৬/ইয়াসিন/টিপু