খেলাধুলা

টেন্ডুলকারকে ছাপিয়ে যাওয়া অসম্ভব : কোহলি

ক্রীড়া ডেস্ক : ক্যারিয়ারের শুরু থেকে বিরাট কোহলিকে দেখা হচ্ছিল শচীন টেন্ডুলকারের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে। প্রতিটা ম্যাচেই যেন ভাবনাটাকে একটু একটু করে বাস্তবে রূপ দিয়ে যাচ্ছেন বর্তমানে ভারতের তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক। টেন্ডুলকারের যে রেকর্ডগুলোকে এক সময় ‘অতিমানবীয়’ ভাবা হতো, সেগুলোও কোহলি ভেঙে ফেলবেন বলে মনে করা হচ্ছে। রোববারই যেমন তিনি টেন্ডুলকারের একটি রেকর্ডে ভাগ বসালেন। ওয়ানডেতে লক্ষ্য তাড়ায় এতদিন সবচেয়ে বেশি ১৭টি সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল টেন্ডুলকারের দখল। পুনেতে রোববার ইংল্যান্ডের বেঁধে দেওয়া ৩৫১ রান তাড়ায় ১২২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে কোহলি ছুঁয়ে ফেললেন পূর্বসূরির রেকর্ড। লক্ষ্য তাড়ায় দুজনেরই সেঞ্চুরি এখন ১৭টি করে। তবে ১৭ সেঞ্চুরি করতে টেন্ডুলকারের লেগেছিল ২৩২ ইনিংস। সেখানে কোহলি লাগল মাত্র ৯৬ ইনিংস! আরেকটি রেকর্ডে টেন্ডুলকারকে ছাড়িয়েও গেছেন কোহলি। সফলভাবে লক্ষ্য তাড়ায় সবচেয়ে বেশি ১৪টি সেঞ্চুরি ছিল টেন্ডুলকারের। প্রাক্তন কিংবদন্তিকে ছাড়িয়ে কোহলির হলো ১৫টি। যদিও টেন্ডুলকারের সঙ্গে তুলনা সব সময়ই অস্বীকার করে এসেছেন কোহলি। অস্বীকার করলেন আরো একবার, ‘মনে হয় না অতদিন আমি খেলতে পারব (টেন্ডুলকার পেশাদার ক্রিকেট খেলেছেন ২৪ বছর)। যেখানে আছে ২০০ টেস্ট ও ১০০টি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি। যেগুলো অসাধারণ রেকর্ড, যা ছোঁয়া প্রায় অসম্ভব। কিন্তু হ্যাঁ, আমি আমার খেলা দিয়ে পার্থক্য গড়ে দিতে চাই। যাতে আমি যখন খেলা ছাড়ব তখন ভালো কিছু করে যেতে পারি।’ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটিই ছিল ফুল-টাইম ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে কোহলির প্রথম ম্যাচ। সেই ম্যাচেই করলেন দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। তার দলও ৩৫১ রান তাড়া করে ৩ উইকেটে জিতল ম্যাচ। এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে তিনবার ৩৫০ বা এর বেশি রান তাড়া করে জিতেছে ভারত। এর প্রতিটিতেই সেঞ্চুরি আছে কোহলির! ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি কিংবা টেস্ট- কোহলি ছুটছেন দুর্বার গতিতে। কিন্তু এত সাফল্যের রহস্য কী? কোহালি অবশ্য সাফল্যের চাবিকাঠি হিসেবে তার জীবনে খুব কম কাছের মানুষ থাকাকেই কারণ হিসেবে দেখালেন, ‘সৌভাগ্যবশত আমার জীবনে খুব বেশি মানুষ নেই যারা আমার কাছের। আমার মতে এটা ভীষণভাবে সাহায্য করেছে। যদি আপনার জীবনে কথা বলার জন্য অনেক মানুষ, অনেক বন্ধু থাকে তাহলে আপনার চিন্তা-ভাবনা বিক্ষিপ্ত হয়ে যেতে পারে। আর সময় নিয়ন্ত্রণ করাও প্রায় অসম্ভব হয়ে যায়।’ কোহলি নিজের ক্ষমতাকে কখনো কোনো সীমার মধ্যে আবদ্ধ রাখতে চান না, ‘একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে আমার মনে হয়, আমরা অনেক সময় নিজেদের ক্ষমতা না বুঝেই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করে ফেলি। যে কারণে আমি নিজের ওপর কোনো লিমিট চাপিয়ে দিই না। আমার ভালো লাগে নিজের ক্ষমতাকে প্রতি মুহূর্তে আবিষ্কার করতে। আমি জীবনে কী করতে চাই সে ব্যাপারে কখনো কোনো সীমা তৈরি করি না।’ তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ জানুয়ারি ২০১৭/পরাগ