খেলাধুলা

সোহানের ব্যাটে ভালো অবস্থানে ওয়ালটন

ক্রীড়া প্রতিবেদক : ডানহাতি স্পিনার আফিফের দুর্দান্ত বল। টার্ন ও হালকা বাউন্সে সোহানের ব্যাট ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত করল অফ স্টাম্পে। ৬৫ রানে ব্যাট করা সোহান নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন। শর্ট লেগে দাঁড়ানো ইয়াসির আলী দৌড়ে জড়িয়ে ধরলেন আফিফকে। এরপর দলের সবার উল্লাস। দূর থেকেই বোঝা যাচ্ছিল ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের সোহানের উইকেটের জন্য মুখিয়ে ছিল ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন। তাইতো সোহানের বিদায়ের পর প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে ফতুল্লা স্টেডিয়াম।

 

সোহানের উইকেট না হারালে বিসিএলের চতুর্থ রাউন্ডের প্রথম দিনে নিশ্চিত এগিয়ে থাকতো ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন। ৭ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৩২ রান তুলেছে ওয়ালটন। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান সোহান। তরুণ স্পিনার আফিফ হোসেনের বলে আউট হওয়ার আগে ৮৮ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৬৫ রানের নজরকাড়া ইনিংস উপহার দেন তিনি। একটু ধৈর্য নিয়ে খেললে আজই তিন অঙ্কের ল্যান্ডমার্ক ছুঁয়ে ফেলতে পারতেন। এ ছাড়া অলরাউন্ডার শুভাগত হোম ৪৬ ও মার্শাল আইয়ুব করেছেন ৩৭ রান। ইনজুরি থেকে ফিরে আসা ওয়ালটনের অধিনায়ক মোশাররফ হোসেন রুবেল ২১ এবং মোহাম্মদ শরীফ ১১ রানে অপরাজিত রয়েছেন। 

 

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়ালটনের ছিলটা ছিল একদমই বাজে। পেসার আবু জায়েদ রাহীর তোপে ১১ রানে ২ উইকেট হারায় ওয়ালটন। আব্দুল মজিদ (১) ও মেহরাব হোসেন জুনিয়র (৫) রাহীর বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন। তৃতীয় উইকেটে জুটি বাঁধেন সাইফ হাসান ও মার্শাল আইয়ুব। ৫৩ রান যোগ করেন তারা। মধ্যাহ্ন বিরতির পর আবারও রাহীর আক্রমণ। মাত্র ১১ রানে এ দুই ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরত পাঠান রাহী। ৭৪ বলে ২৭ রান করা সাইফ স্লিপে অলোক কাপালির হাতে ক্যাচ দেন। ৩৭ রান করা মার্শাল আইয়ুব সরাসরি বোল্ড হন। এরপর আর কোনো উইকেট পাননি রাহী। তাইবুর রহমানকে (১৬) আবুল হাসান এবং শুভাগত হোমকে (৪৬) সাকলাইন সজীব আউট করেন।

 

সপ্তম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন রুবেল ও সোহান। তাদের জুটি ভাঙার পর অষ্টম উইকেটে জুটি বেঁধেছেন শরীফ ও রুবেল। দেখা যাক তাদের ব্যাটে কোথায় গিয়ে পৌঁছে ওয়ালটনের ইনিংস। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/ইয়াসিন/পরাগ