খেলাধুলা

‘ওটা অনেক বড় অর্জন’

আবু হোসেন পরাগ : ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দলের হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিক তার। এরপর শাহাদাত হোসেনের সঙ্গী হয়েছেন আরো চারজন। সর্বশেষ মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন তাসকিন আহমেদ। তবে হ্যাটট্রিকের উপলক্ষটা জয় দিয়ে রাঙিয়ে রাখতে পারেননি তাসকিন। পারেননি শাহাদাতও। তাসকিনের হ্যাটট্রিক দেখে জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই পেসার ফিরে গেলেন অতীতে। পাশাপাশি নিজের বর্তমান অবস্থা এবং স্বপ্ন নিয়ে মুঠোফোনে কথা বললেন রাইজিংবিডি ডটকমের সঙ্গে। প্রশ্ন : তাসকিন আহমেদ তো কাল হ্যাটট্রিক করলেন। দেখেছেন নিশ্চয়? শাহাদাত : পরে দেখেছি ভিডিওতে। আমি খেলা দেখতে পারিনি, পরে দেখেছি। প্রশ্ন : ওয়ানডেতে দেশের হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিকটা আপনার, মনে পড়ে সেই দিনের স্মৃতি? শাহাদাত : ওটা অনেক বড় অর্জন। আমার জন্য সবচেয়ে বড় অর্জন হ্যাটট্রিকটা। এরপর লর্ডসে পাঁচ উইকেট। ওই দুটা জিনিস আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে বড় অর্জন।

 

প্রশ্ন : তাসকিনের হ্যাটট্রিকের ম্যাচটা জিততে পারল না বাংলাদেশ। অবশ্য হারেওনি! পরিত্যক্ত হয়েছে। আপনার হ্যাটট্রিকের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে ২ উইকেটে হেরে যায় বাংলাদেশ... শাহাদাত : হ্যাঁ, ম্যাচটা আমরা হেরে গেছলাম। তাসকিনের হ্যাটট্রিকের ম্যাচটা পরে আর হলো না। এটাই আমি গতকাল বলছিলাম। মনে মনে বলছিলাম, ওর কপালটা খারাপ কত! ব্যাটিংটা হলে ম্যাচটা জিতলে অন্তত ভালো হতো। প্রশ্ন : শেষ বলে দরকার ৫ রান। মাশরাফি বিন মুর্তজাকে ছক্কা হাঁকালেন ব্রেন্ডন টেলর। জিম্বাবুয়ের কাছে হারের পর মন খারাপ হয়েছিল নিশ্চয়? শাহাদাত : ম্যাচ হারের পর খারাপ লাগছে। খারাপ তো লাগারই কথা। শেষ ওভারে ২৪ (১৭) রান দরকার ছিল ওদের। মাশরাফি ভাই যে খুব বাজে বোলিং করেছেন, তা নয়। মাশরাফি ভাই ভালো বোলিং করেছেন। টেলর অনেক ভালো ব্যাটিং করেছে। আর ওদের কন্ডিশনে খেলা হইছে তো...। প্রশ্ন : শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ম্যাচটা কেমন হতে পারে, কোনো দলের কেমন সম্ভাবনা দেখছেন?   শাহাদাত : শেষ ম্যাচটা ভালো হবে। খুব ভালো লড়াই হচ্ছে তো, আমরা এটাই চাই। শ্রীলঙ্কার দল আগের মতো অত শক্তিশালী না। ওদের চেয়ে আমাদের দলটা শক্তিশালী। এটাই আমরা চাচ্ছিলাম সব সময়। আমাদের দলটা শক্তিশালী হবে। সম্ভাবনা বলতে, ৩০ পার্সেন্ট ওদের, ৭০ পার্সেন্ট আমাদের।

 

প্রশ্ন : সামনে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। পরিকল্পনা কী? শাহাদাত : প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে তো পরিকল্পনা থাকবেই। এটা অনেক বড় সুযোগ জাতীয় দলে আসার। ওয়ানডে না খেললেও অন্তত টেস্ট দলে আসার। আমি আমার সর্বোচ্চটা চেষ্টা করব। প্রশ্ন : আপনার হাঁটুতে একটা বড় চোট ছিল, অস্ত্রোপচারও হয়েছে। এখন কোনো সমস্যা আছে কি না? শাহাদাত : এখন আল্লাহর রহমতে ওরকম কোনো সমস্যা নেই। ওই ইনজুরিটা এখন আর নেই। এখন অনেক ভালো। আর সবচেয়ে বড় কথা, বলের গতি এখন আগের চেয়ে ভালো। আগে যা বল করতাম, এখন তার চেয়ে জোরে বল করতে পারি। এখন বোলিং নিয়ে অনেক কাজ করছি। প্রশ্ন : সবশেষ বিসিএলে খেললেন। তিন ম্যাচে পেয়েছেন ৪ উইকেট। কেমন মনে হলো নিজেকে? শাহাদাত : বিসিএলে খুব ভালো বোলিং করেছি। হয়তো বা উইকেট সেভাবে আসেনি। বোলিং ভালো হইছে। আমার যে সুযোগ ছিল, এক ম্যাচে ক্যাচ মিস করেছে তিনটা। না হলে পাঁচ উইকেট পাইতাম। আর পাঁচ উইকেট তো যেকোনো ফাস্ট বোলারের জন্য অনেক বড় একটা ব্যাপার।

 

প্রশ্ন : ২০১৫ সালের পর আর জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারেননি। আবার দলে ফেরার স্বপ্ন দেখেন নিশ্চয়? শাহাদাত : ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করছি, ভালো ছন্দে এসেছি। তো এটা ধরে রাখতে চাই। দোয়া কইরেন আপনারা। দোয়া কইরেন টেস্টে আসব ইনশাআল্লাহ। আজ হোক, কাল হোক আসব। অনেকবার দলে ঢুকেছি, অনেকবার বের হয়েছি। যখন চিন্তা করেছি দলে ঢুকবই, আল্লাহ কোনো না-কোনোভাবে দলে ঢুকাইছেন। ইনশাআল্লাহ এবারও ঢুকব। প্রশ্ন : এখন আপনার বড় চ্যালেঞ্জ কী বলে মনে করছেন? শাহাদাত : ফাস্ট বোলাররা ফিট থাকলে খেলতে পারবে। আমার চ্যালেঞ্জ হলো ফিট থাকা সব সময়। আগে যেরকম ফিট ছিলাম, ওরকম ফিট থাকা। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ মার্চ ২০১৭/পরাগ