খেলাধুলা

ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দ. আফ্রিকার লর্ডস জয়

ক্রীড়া ডেস্ক : অসাধারণ বোলিংয়ে ইংল্যান্ডকে ১৫৩ রানে বেঁধে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন বোলাররা। বাকি কাজটা সহজেই সারলেন ব্যাটসম্যানরা। তাতে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকা পেল ৭ উইকেটের বড় জয়। ক্রিকেটের তীর্থভূমি লর্ডসে এই প্রথমবার ওয়ানডে জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। এই মাঠে এর আগে খেলা তিন ম্যাচের তিনটিতেই স্বাগতিকদের কাছে হেরেছিল প্রোটিয়ারা। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছিল ইংল্যান্ড। শেষ ম্যাচ জিতে হোয়াইটওয়াশ এড়াল দক্ষিণ আফ্রিকা। স্বাগতিকরা সিরিজ জিতল ২-১ ব্যবধানে। লর্ডসে সোমবার টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স। আগের ম্যাচ থেকে বেন স্টোকস, মঈন আলীসহ পাঁচ খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়েছিল স্বাগতিকরা। সেটাই যেন ‘কাল’ হয়ে দাঁড়াল! ব্যাটিংয়ে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের তোপের মুখে পড়ে মাত্র ২০ রানেই যে ৬ উইকেট হারায় ইংলিশরা। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে  জেসন রয়কে স্লিপে হাশিম আমলার ক্যাচ বানিয়ে বিদায় করেন কাগিসো রাবাদা। পরের ওভারে জো রুটকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন আরেক পেসার ওয়েইন পারনেল। নিজের পরের ওভারে এসে অধিনায়ক এউইন মরগানকেও সাজঘরের পথ দেখান তিনি। উইকেটকিপার কুইন্টন ডি কককে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইংলিশ অধিনায়ক। পঞ্চম ওভারে ইংল্যান্ডকে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা দেন রাবাদা। প্রোটিয়া পেসার এই ওভারেই তুলে নেন ৩ উইকেট! প্রথম বলে আমলাকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অ্যালেক্স হেলস। পঞ্চম ও ষষ্ঠ, পরপর দুই বলে আউট হয়ে ফেরেন জস বাটলার ও আদিল রশিদ। প্রথম পাঁচ ওভারে ২০ রানেই ৬ উইকেট নেই ইংল্যান্ডের! দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি কেউই। এর আগে ১৯৭৫ সালে লিডসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবচেয়ে কম ২৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছিল ইংলিশরা। আগের ওভারে শেষ দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন রাবাদা। তবে পরের ওভারে তার হ্যাটট্রিক বলটি অবশ্য নিরাপদে ঠেকিয়ে দেন জনি বেয়ারস্টো। তখন ৫০ করা নিয়েই দুশ্চিন্তা ইংল্যান্ডের। ওয়ানডেতে নিজেদের সর্বনিম্ন ৮৬ রান পেরোনো তো কঠিন চ্যালেঞ্জ। তবে সপ্তম ও অষ্টম উইকেট জুটিতে ৬২ ও ৫২ রান তুলে লজ্জা এড়িয়েছে ইংল্যান্ড। বেয়ারস্টোর ৫১ রান, ডেভিড উইলির ২৬ ও নয়ে নামা অভিষিক্ত টবি রোনাল্ড-জোনসের অপরাজিত ৩৭ রানে ৩১.১ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ১৫৩ করতে পেরেছে ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের প্রথম সাত উইকেটই ভাগাভাগি করে নিয়েছেন রাবাদা (৪) ও পারনেল (৩)। শেষ ৩ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার কেশব মহারাজ। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় দুই ওপেনার হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি কক ৯৫ রানের জুটি গড়ে কাজটা সহজ করে দেন। এরপর ৬ রানের মধ্যে দুই ওপেনার আর ফাফ ডু প্লেসির উইকেট তুলে নিয়ে অবশ্য অন্যরকম কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিল ইংল্যান্ড। তবে চতুর্থ উইকেটে জেপি ডুমিনি ও ডি ভিলিয়ার্সের অবিচ্ছিন্ন ৫৫ রানের জুটিতে ১২৭ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে সফরকারীরা। অভিষিক্ত  রোনাল্ড-জোনসের বল ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হওয়া আমলা ৫৪ বলে ১১ চারে করেন ৫৫। এই ইনিংস খেলার পথেই দ্রুততম সাত হাজার রানের রেকর্ড গড়েন ৩৪ বছর বয়সি ব্যাটসম্যান। ৩৯ বলে ৩৪ রান করেন ডি কক। ডুমিনি ২৮ ও ডি ভিলিয়ার্স ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ মে ২০১৭/পরাগ