ক্রীড়া প্রতিবেদক : ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নুুরুল হাসান সোহানের ওয়ানডে অভিষেক হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত মাত্র দুটি ওয়ানডে খেলেছেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান। বেশ কয়েকবার দলে থাকলেও সেরা একাদশে সুযোগ হয়নি। সবশেষ আয়ারল্যান্ড সফর ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলেও ছিলেন তিনি। কিন্তু খেলা হয়নি। তা নিয়ে অবশ্য আফসোস নেই সোহানের। অপেক্ষায় আছেন সুযোগ পাওয়ার। নিজেকে সব সময় ফিট রাখছেন। যাতে সুযোগ আসলে ভালো করতে পারেন। মিরপুরে শুরু হওয়া ফিটনেস ক্যাম্পেও আছেন তিনি। আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন খুলনার এই ব্যাটসম্যান। ক্যাম্প কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে বলেন, ‘তিন দিন হল। ভালো চলতেছে। আরও ২-৩ সপ্তাহ আমরা সময় পাব। চেষ্টা থাকবে সবাই যাতে রিকভারি করে শতভাগ ফিট থাকতে পারি।’ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দলের সঙ্গে ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন। কেমন কেটেছে সময়। সে বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আসলে জাতীয় দলের সঙ্গে থাকলে সবসময় অনেক কিছু শিখতে থাকি। ড্রেসিংরুম থেকে বলেন বা টিম ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে বা প্রাকটিসে বলেন। প্রতিটা ক্ষেত্রেই আমার যে ঘাটতিগুলো রয়েছে, সেগুলো রিকভার করার জন্য অনেক কিছু শেখার আছে। সবকিছুই ওখান থেকে শিখতে চাই।’ দলের সঙ্গে থাকলেও ম্যাচ খেলতে পারছেন না। আক্ষেপ কিংবা আফসোস হয় কিনা জানতে চাইলে সোহান বলেন, ‘এখানে সবচেয়ে বড় জিনিসটা হচ্ছে সুযোগ কোন সময় আসে কেউ জানে না। আমি সবসময় চেষ্টা করি আমার যে ঘাটতি আছে সেগুলো রিকভার করে যাতে শতভাগ ফিট থাকি এবং সুযোগ আসলে যাতে ভালো করতে পারি। এখন যেহেতু ফিটনেস ক্যাম্প চলছে। তার ফাঁকে ফাঁকে ব্যাটিং নিয়ে একটু কাজ করব। যে ঘাটতি আছে সেগুলো রিকভার করার চেষ্টা করব। কিপিংয়ে কিছু ঘাটতি আছে সেগুলো নিয়েও চেষ্টা করব যাতে ভবিষ্যতে আরও ভালো করতে পারি।’ ঘরোয়া-আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পার্থক্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আসলে মানসিকভাবে চিন্তা করাটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় জিনিস। ঘরোয়া, আন্তর্জাতিক আপনি যদি খেলাটা ধরতে পারেন আমার মনে হয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলাটা অনেক সহজ হয়। মানসিকভাবে যদি শক্ত থাকেন, মানসিকভাবে আপনার যদি ভালো কিছু করার চিন্তা-ভাবনা থাকে, তখন কঠিন যে সময়গুলো আছে এগুলো রিকভার করা যায়।’ রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ জুলাই ২০১৭/আমিনুল