খেলাধুলা

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ

ক্রীড়া প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে : মেহেদী হাসান মিরাজ ডেভিড ওয়ার্নারকে চ্যালেঞ্জ করলেন! কিন্তু পারলেন না। দুই রান নিতে গিয়ে ওয়ার্নারের সরাসরি থ্রোতে আউট নয়ে ব্যাটিংয়ে নামা মেহেদী। ৪৫ বলে ১১ রানে মেহেদী যখন আউট হলেন তখন বাংলাদেশের রান ৯ উইকেটে ২৯৬। দিনের শুরুতে তিনশ রান হবে কিনা তা নিয়ে কোনো দুঃশ্চিন্তা ছিল না। কিন্তু এক ঘন্টার ব্যবধানে পাল্টে যায় চিত্র। ভাগ্য ভালো মেহেদীর বিদায়ের পর তাইজুল ছিলেন ক্রিজে। ম্যাক্সওয়েলকে ডাউন দ্যা উইকেটে এসে ছক্কা মেরে বাংলাদেশের রান নিয়ে যান ৩০২-এ । পরের ওভারে নাথান লায়নকেও একই ভাবে মারতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বল ব্যাটের স্পর্শ পেয়ে যায় স্লিপে স্টিভেন স্মিথের হাতে। তাইজুল আউট হলেন ৯ রানে, বাংলাদেশ থামল ৩০৫ রানে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০০৬ সালে ফতুল্লায় ৪২৭ রান করেছিল হাবিবুল বাশারের দল। ৬ উইকেটে ২৫৩ রানে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেন মুশফিকুর রহিম (৬২) ও নাসির হোসেন (১৯)। আগের দিন ৫ উইকেট শিকার করা লায়ন যেখানে শেষ করেছিলেন আজ সেখান থেকেই ফের শুরু করেন। ব্যক্তিগত খাতায় ৬ রান যোগ করে মুশফিকুর রহিম ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন। অষ্টম উইকেটে মেহেদীকে নিয়ে হাফ-সেঞ্চুরির পথে ভালোই এগিয়ে যাচ্ছিলেন নাসির হোসেন। কিন্তু চার বছরের আক্ষেপ দূর করতে পারেননি। চার বছর আগে টেস্টে নাসির পেয়েছিলেন হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ। আজ ৫ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন অ্যাগারের বলে আউট হয়ে। ঢাকা টেস্টের মত ব্যাকফুটে গিয়ে কাটশট খেলতে গিয়ে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দেন ৪৫ রানে। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল আউট হলে বাংলাদেশ মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই গুটিয়ে যায়। বল হাতে স্পিনার লায়ন ৯৪ রানে পেয়েছেন ৭ উইকেট। অ্যাগার নিয়েছেন ২ উইকেট। এ টেস্টের জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে উড়িয়ে নিয়ে আসা স্টিভ ও’কিফ কোনো উইকেট পাননি। এর আগে গতকাল ৬ উইকেটে ২৫৩ রানে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। সাব্বির রহমান করেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৬ রান। সৌম্য সরকার ৩৩ ও মুমিনুল হক করেছেন ৩১ রান। রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭/ইয়াসিন /টিপু