খেলাধুলা

ফ্রিডম দিয়ে পারফরম্যান্স আদায় মাহমুদউল্লাহর

ক্রীড়া প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে : ঢাকা, কুমিল্লা, রংপুরের মতো নামীদামি খেলোয়াড় নেই খুলনার। কিন্তু তারাই এখন টপ অফ দ্য টেবিলে। শুক্রবার রংপুরকে ৯ রানে হারিয়ে হেভিওয়েট কুমিল্লাকে পিছনে ফেলে শীর্ষে খুলনা। দেশের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ একাই পাল্টে দিয়েছেন খুলনাকে। অসাধারণ অধিনায়কত্ব, সময়উপযোগী সিদ্ধান্ত, দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে খুলনাকে মাহমু্দউল্লাহ উঠিয়েছেন শীর্ষে। মাহমুদউল্লাহর ভরসার অন্যতম নাম তরুণ ক্রিকেটাররা। স্থানীয় তরুণ ক্রিকেটারদের উপর ভরসা রেখে বারবার সাফল্য পাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ। পেসার আবু জায়েদ রাহী, স্পিনার আফিফ হোসেন, ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত দলের জয়ে বড় অবদান রাখছেন। তরুণদের পারফর‌ম্যান্স নিয়ে মাহমুদউল্লাহ বেশ উল্লসিত। পারফরম্যান্সের রহস্য উন্মোচন করে খুলনার অধিনায়ক জানালেন, তরুণদের ফ্রিডম দেওয়ায় ওরা নিজেদের মত করে পারফর্ম করতে পারছে। মাহমুদউল্লাহর ভাষ্য,‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আপনি যদি ফ্রিডম নিয়ে না খেলেন, তবে পারফরম্যান্স করার সম্ভাবনা কমে যায়। অধিনায়ক হিসেবে আমি ওদেরকে স্বাধীনতা দেয়ার চেষ্টা করি। যাতে মন খুলে খেলতে পারে।  সব সময় বলি,‘চাপ নেয়ার দরকার নেই।’ ব্যর্থতার ভয় যদি কারো মধ্যে কাজ করে, তবে পারফর্ম করার সুযোগ কমে যায়। আমার পক্ষ থেকে তাই চেষ্টা করি যতটা সাহস দেয়া যায়।’ রংপুরের বিপক্ষে জয়ের নায়ক মাহমুদউল্লাহ। ১৫৮ রানের পুঁজিতে মাহমুদউল্লাহ একাই করেছেন ৫৯ রান। এ ইনিংস খেলার পথে বিপিএলে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি নিজের করে নেন মাহমুদউল্লাহ। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন,‘দলের জন্য অবদান রাখতে পারছি, এটাই সবচেয়ে বড় কথা। ভালো লাগছে।’ ১৫৮ রানের লক্ষ্য নিয়ে জয় পেতে শুরুতেই গেইল ও ম্যাককালামকে ফেরানোর দরকার ছিল খুলনার। ৩ ওভারেই মধ্যেই টি-টোয়েন্টির এ দুই ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠিয়ে প্রাথমিক পরিকল্পনায় সফল মাহমুদউল্লাহ। মাঝপথে বোলাররা নিজেদের পরিকল্পনায় ঠিক থাকতে না পারলেও শেষ দিকের নিয়ন্ত্রিত বোলিং মাহমুদউল্লাহ খুলনার জয় নিশ্চিত হয়। রংপুরকে হারিয়ে স্বস্তি পাওয়া মাহমুদউল্লাহ বলেছেন,‘ওদের টপ অর্ডার খুব শক্তিশালী। তবে আমাদের আত্মবিশ্বাস ছিল। পাওয়ার প্লেতে খুব ভালো বোলিং করে দ্রুত ৪ উইকেট নিয়েছি আমরা। যদিও ইনিংসের মাঝামাঝি আমরা তেমন ভালো বোলিং করতে পারিনি। আমার মনে হয় মাঝের ওভারগুলোতে বোলাররা নির্দেশনা ঠিক মতো কাজে লাগাতে পারছিল না। ম্যাচটা ওদের (রংপুরের) হাতে চলে যাচ্ছিল। তবে জফরা ও জুনাইদ খুব ভালো বোলিং করেছে বলে জিততে পেরেছি। খুব ভালো লাগছে। দুই স্পিনার আফিফ ও তানবীর ভালো বোলিং করেছে।’ রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ নভেম্বর ২০১৭/ইয়াসিন/আমিনুল