খেলাধুলা

‘বাঙাল মুলক কা টাইগার’ আব্দুর রাজ্জাক সমাহিত

ক্রীড়া ডেস্ক : সাবেক জাতীয় খেলোয়াড় ও সাবেক জাতীয় হকি কোচ এবং হকি আম্পায়ার্স বোর্ডের সাবেক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক সোনামিয়া আর নেই। আজ রোববার সকালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে... রাজেউন)। বেলা ২টায় মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে প্রথম নামাযে জানাযা এবং বাদ আসর চকবাজার শাহী মসজিদে দ্বিতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আজিমপুর কবরস্থানে সমাহিত করা হয় তাকে। আব্দুর রাজ্জাক সোনামিয়া জাতীয় হকি দলের বর্তমান খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমির বাবা। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র ও তিন কন্যা রেখে যান। তিনি ২ নভেম্বর ১৯৪৯ সালে পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় জন্মগ্রহণ করেন। স্বাধীনতার পূর্বে তার পারফরম্যান্সের কারণে পাকিস্তানের হকি খেলোয়াড়রা তাকে ডাকতেন ‘বাঙাল মুলুক কা টাইগার’ নামে। ৬৯ বছর বয়সে চিরবিদায় নিলেন ‘বাঙাল মুলুক কা টাইগার’। ১৯৬২ সালে আরমানিটোলা স্কুলে ছাত্র অবস্থায় আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষে হকি লিগে অংশগ্রহণ করে খেলোয়াড় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন আব্দুর রাজ্জাক। পরবর্তীতে জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন। জগন্নাথ কলেজে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ২০০, ৪০০, ৮০০, ১৫০০ মিটার ¯িপ্রন্টে ও ৪ গুনন ১০০ মিটার রিলেতে প্রথম হয়ে দুই বছর কলেজ চ্যাম্পিয়ন হন। তিনি কম্বাইন্ড, ভিক্টোরিয়া, পিডব্লিউডি ক্লাবের পক্ষে লিগে অংশগ্রহণ করে। ১৯৬৭ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তান দলের নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তীতে ১৯৭২, ১৯৭৮ পর্যন্ত আবাহনীর পক্ষে খেলেন এবং সর্বশেষ ১৯৮৮ সালে আবাহনী ক্রীড়া চক্রের পক্ষে খেলার মাধ্যমে খেলোয়াড়ী জীবনের ইতি টানেন। জাতীয় হকি প্রতিযোগিতায় ১৯৭৬ ও ১৯৭৭ সালে ঢাকা জেলা দলের অধিনায়ক ছিলেন। ১৯৮৮ সালে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত জুনিয়র ওয়ার্ল্ড কাপ কোয়ালিফাইং রাউন্ডে এবং ১৯৮৯ সালে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ৩য় এশিয়া কাপ হকি প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ দলের প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৫ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় এশিয়া কাপে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়াও তিনি বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সদস্য ও হকি আম্পায়ার্স বোর্ডের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/আমিনুল