খেলাধুলা

বাংলাদেশের বোলিংয়ে বৈচিত্র্যের অভাব ছিল : গুনাথিলাকা

ক্রীড়া প্রতিবেদক : ১৯৪ রান তাড়া করে জয় পেতে বেগ পেতে হয়নি শ্রীলঙ্কাকে। জয়ের পুরো কৃতিত্ব ব্যাটসম্যানদের দিয়েছেন দানুশকা গুনাথিলাকা। তবে বাংলাদেশের বোলিংয়ে বৈচিত্র্যের অভাবও দেখছেন লঙ্কান ওপেনার। মিরপুরে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ করেছিল ১৯৩ রান। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান। ওই রান লঙ্কানরা তাড়া করেছে ২০ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে। এর আগে ১৭৩ রানের বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল না তাদের। আজ তাই দুই দলই টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের রেকর্ড নিজেরা ভেঙেছে। তবে দিন শেষে শেষ হাসিটা হেসেছে ওই লঙ্কানরাই। উইকেট ছিল ব্যাটসম্যানদের জন্য স্বর্গ। ব্যাটসম্যানরা রান করেছেন হাতখুলে। বাংলাদেশের সৌম্য, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহরা যে ব্যাটিং উপহার দিয়েছেন, তা ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে থাকবে দীর্ঘদিন। উল্টোচিত্র বোলারদের। বিবর্ণ বোলিং। ছিল না কোনো বৈচিত্র্য। লাইন ও লেন্থ বারবার মিস করছিলেন বোলাররা। তাতেই জয়ের পথ খুলে যায় শ্রীলঙ্কার। ম্যাচ শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে শ্রীলঙ্কার ওপেনার গুনাথিলাকাও জানালেন, বাংলাদেশের বোলিংয়ে ছিল না বৈচিত্র্য। পাশাপাশি ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে বোলারদের ছিল না কিছু করারও। গুনাথিলাকা বলেন, ‘উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য দারুণ ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই আমরা আলোচনা করেছিলাম, আমরা আমাদের মূল কাজগুলো ঠিকমত করব। আমাদের বিশ্বাস ছিল আমরা যদি আমাদের কাজ ঠিকমতো করি, তাহলে সহজেই টার্গেটে পৌঁছতে পারব।’

 

‘ওরা খারাপ বোলিং করেছে কি না, সেটা বলা মুশকিল। কারণ উইকেট ছিল ব্যাটসম্যানদের সহায়ক। তবে হ্যাঁ, আমার মতে ওদের বোলিংয়ে বৈচিত্র্য ছিল না! আমাদের ব্যাটসম্যানরা এতটাই ভালো ছিল যে বিশেষ কিছু করারও ছিল না। আমরা শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলাম। আমাদের ১৯০ রান তাড়া করতে হবে। এটা বিশাল একটা টার্গেট। এজন্য শুরু থেকেই আমরা ওদেরকে চাপে রেখেছিলাম’- বলেছেন গুনাথিলাকা। উদ্বোধনী জুটিতে গুনাথিলাকা ও কুশল মেন্ডিস শুরুতেই ৫৩ রানের জুটি গড়েন ৪.৫ ওভারে। ১৫ বলে ৩০ রান করে গুনাথিলাকা নাজমুল ইসলাম অপুর বলে ফিরে গেলেও মেন্ডিস তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। পরবর্তীতে থিসারা পেরেরা ও দাসুন শানাকার ৩০ বলে অবিচ্ছিন্ন ৬৬ রানের জুটিতে স্রেফ উড়ে যায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশ দলে চার অভিষিক্ত ক্রিকেটারকে দেখে অবাক হননি গুনাথিলাকা। দলের সেরা ক্রিকেটার না থাকায় তরুণদের ওপর আস্থা রাখবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে তরুণদের নিয়ে লঙ্কান শিবিরে ছিল না কোনো ভয়, কোনো সংশয়। গুনাথিলাকার ভাষ্য, ‘আমরা তাদের নিয়ে ওতটা ভাবিনি। বাংলাদেশ দল সব সময়ই ভালো করছে, বিশেষ করে শেষ দু্‌ই বছরে। আমরা তাদের নিয়ে না ভাবার সেটাও একটা কারণ। কারণ বাংলাদেশ ওই চার তরুণের দল নয়। ওরা এগারোজন। মাঠে ওরাই খেলবে। তাদেরকে হারাতে আমাদেরকে খেলতে হবে সেরা ক্রিকেট। আমি তাদেরকে ব্যক্তিগতভাবেও চিনি। বিপিএলে তাদের সাথে খেলেছিও।’ রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/ইয়াসিন/পরাগ